পবিত্র ঈদ আকর্ষণ কালা মানিক। জালালপুর গ্রামের কালা মানিক কে দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমেছে।
প্রতিদিন শত শত মানুষ আসছে ওই বাড়িত। তার সঙ্গে সেলফি ওঠানোরও হিড়িক চলছে। অনেকে ছবি ফেসবুকে পোস্ট করছেন কালা মানিকের ছবি উপজেলার জালালপুর গ্রামের মৃত্যু বদর উদ্দিন বিশ্বাস এর ছেলে মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। এরইমধ্যে বিভিন্ন এলাকার পাইকারি গরু ব্যাবসায়িরা ” কালা মানিক ষাড়ের দাম হেঁকেছেন ১২ লাখ টাকা।
জহিরুল ইসলাম জানান, আমাদের পরিবার ও গ্রামের খুব আদরের এই ষাড় গরুটি। সে কারণে সবকিছুই আমি নিজ হাতেই করার চেষ্টা করি। খাবার দেওয়া, ময়লা পরিষ্কার, গোসল করানো সবই আমি নিজে করি। তবে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য আমার ভাবি রয়েছেন। কালা মানিক অনেক বড় হওয়ায় সব কাজ একা করতে পারি না। তাই সব সময় আমার ভাবির সহযোগিতা নিতে হয়। তার চিকিৎসা, তাপমাত্রা ঠিক রাখাসহ সর্ব বিষয়ে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে হয়। আরো জানান, আমার বাড়ির পোষা গাই গরুর বাছুর দুই বছর ধরে লালন পালন করছি কালা মানিক কে সব সময় পরিমিত খাবার আর যত্ব করে ষাঁষটিকে এই পর্যায় নিয়ে এসেছেন তিনি।
এর খাবারের জন্য খরচ হয় প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার টাকা করে। কালা মানিক এর জন্য আমার জমিতে সবুজ ঘাষের চাষ করেছি। সেখান থেকে ঘাষ ও ভূষি মাখিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। তবে ‘কালা মানিক কে কখনোই মোটা তাঁজা করণ খাবার বা ওষুধ প্রয়োগ করা হয়নি।
তিনি নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। মালিক যে নির্দেশ দেন সেটাই সে পালন করে। কালা মানিক কোটচাদপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামকে অনেক এলাকার মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। দূর দুরান্ত থেকে লোকজন আসছেন কালা মানিক কে দেখতে।
গরুটির ওজন ২৫ মণের বেশি হবে বলে ধারণা করছি। ঈদ আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। এরইমধ্যে আরও কিছু ওজন বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। তাছাড়া আমার জানামতে ‘কালা মানিক’ ষাড়টিকে ঘাষ ও ভূষি মাখিয়ে খাওয়ানো হয়।