পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে কিশোরগঞ্জে এক ফার্মেসী মালিককে নৃসংশভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তারই সাবেক কর্মচারী এনামুল (২৪) গং। এমনই অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত ফার্মেসী মালিক জিয়াউর রহমান(৪৫) হোসেনপুর উপজেলার রানাগাঁও গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে। তিনি শহরের গাইটাল এলাকায় সুমাইয়া মেডিকেল হল নামের একটি ফার্মেসীর মালিক ছিলেন।
শনিবার ( ২৬ জুন) রাতে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে পাওনা টাকা দেয়ার কথা বলে ঘাতক সুমন ফার্মেসী মালিক জিয়াউর রহমানকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচধা এলাকার একটি নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়া মাত্রই জিয়াউর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতেই তিনি মারা যান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘাতক এনামুলের কাছে ফার্মেসী মালিকের লক্ষাধিক টাকা পাওনা ছিল। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হত। একপর্যায়ে মালিক কর্মচারী এনামুলকে ফার্মেসী থেকে বরখাস্ত করেন। ঘাতক এনামুল এরপর স্থানীয় কলাপাড়া মোড়ের একটি ফার্মেসীতে চাকুরী নেন।
সেখানে থেকেই এনামুল তার সাবেক মালিককে হত্যার পরিকল্পনা করেন। শুক্রবার রাতে মোবাইলে ডেকে নিয়ে তার সাবেক মালিককে কুপিয়ে এনামুল আবার তার নতুন ফার্মেসীতে এসে নির্বিকার হয়ে বসে ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এব্যাপারে নিহত ফার্মেসী মালিক জিয়াউর রহমানের ছোটভাই রাসেল মিয়া বলেন, জিয়াউর রহমান যতক্ষণ বেঁচে ছিলেন ততক্ষণই তিনি শুধু রাসেলের নাম বলছিলেন। তবে তিনি অন্য কাউকে চিনতে পারেননি।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আছমা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এনামুল (২৪) ও সুমন মিয়া (২৭) নামের দজু’নকে গ্রেফতার করা হয়েছে।