নোয়াখালীর সেনবাগে পুলিশের বাধায় আওয়ামীলগের পূর্বনির্ধারিত মতবিনিময় সভা করতে পারেনী উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশর জাফর-টিপু গ্রুপ। ওই সভাটি স্থানীয় এমপি মোরশেদ আলমের নির্দেশে পুলিশ বাঁধা দিয়ে পন্ড করে দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগর সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আহমেদ চৌধুরীর।
শনিবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ সেনবাগ উপজেলার পরিষদের সামনের প্রধান গেইটে অবস্থান নিয়ে পরিষদের সামনে ব্যারিকেড দিয়ে নেতাকর্মীদের সভাস্থল জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রবেশে বাঁধা দিয়ে আটকিয়ে দেয়। এ সময় সভা আয়োজন কারীদের সঙ্গে পুলিশের বাক-বিতন্ডা হয়।
সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু জাফর টিপু অভিযোগ করে জানান, গত (২৩ জুন) কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পান তারা। ওই চিঠির আলোকে উপজেলা আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে শনিবার সকাল ১০টায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে সেনবাগের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় এমপি মোরশেদ আলমের যোগসাজশে শুক্রবার রাত থেকে সেনবাগে তার অনুসারীরা ব্যাপক বোমাবাজী করে অস্ত্রেও মহড়া দেয় ও নেতাকমীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সভা না আসার জন্য হুমকি দমকী প্রদান করে। কিন্তু এতেও কোন কাজ না হওয়ায় এমপি মোরশেদ আলম উপজেলা প্রশাসন ও সেনবাগ থানা পুলিশকে ব্যবহার করে মতবিনিময় সভায় আসা নেতাকর্মীদের সভাস্থালে প্রবেশ করতে বাঁধা দিয়ে মতবিনমিয় সভাটি পন্ড করে দেয়।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ-সার্কেল) মোঃ শাহ এমনার ও সেনবাগ থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, নোয়াখালী জেলা করোনা সংক্রমণের দিক থেকে রেড জোনের মধ্যে রয়েছে। তাই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মতবিনিময় সভা স্থগিত করতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়। তার পরেও তারা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হয়। পরে সভাস্থলের আশেপাশে অবস্থান নিয়ে পুলিশ তাদের মতবিনিময় সভা বন্ধ করে দেয়।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্ষেমালিকা চাকমা জানান, জেলায় করোনা পরিস্থিতি দিনদিন বৃদ্ধি পাওয়ায় সেনবাগে করোনার প্রকোপ রোধে গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়ছে। এই জন্য সভাটি করতে দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘ দিন থেকে স্থগিত রয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি। গত (২৩ জুন) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ওই অভ্যন্তরীণ কোন্দল নতুন করে প্রকাশ্যে আসে। ওই উপজেলায় ৪টি গ্রুপ আলাদা ভাবে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদ্যাপন করে। গ্রুপ গুলো হলো, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি গ্রুপ, সেনবাগ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদ চৌধুরী ও সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু জাফর টিপু গ্রুপ, জেলা আওয়ামীলীগের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক গ্রুপ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবির গ্রুপ।