কালীগঞ্জে সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা হয়েছে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। আর এই বিধি নিষেধের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও থেমে নেই যাত্রীদের আসা যাওয়া। ইজিবাইক, সিএনজি ও মাইক্রোবাসে করে গন্তব্যে স্থলে যাচ্ছেন যাত্রীরা। অনেক দোকান ব্যবসায়িরা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে খরিদ্দার আসলে তাদের কাছে মালামাল বিক্রি করছে। বিশেষ করে হোটেল ব্যবসায়িরা এক সাটার খুলে মালামাল বিক্রি করছে। ব্যবসায়িদের ভ্রাম্যমান আদালত করে জরিমানা করলে ও তারা নিয়ম না মেনে চুর করে বিক্রি করছে মালামাল। যে কারণে সংক্রমন ঠেকানে বিধিনিষেধ জারি করলে ও সাধারন মানুষ মানছে না।
কালীগঞ্জে ইজিবাইক-রিক্সা-ভ্যান ও সিএনজিতে করে মানুষ আসা-যাওয়া করছে। বিভিন্ন স্থানে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তবুও থেমে নেই আসা-যাওয়া। এদিকে শহরের মাইক্রো স্ট্যান্ড থেকে মাথাপিছু ১০০ টাকা করে ভাড়ায় যশোর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ১৮ সিটের মাইক্রোবাসে ১৮ জন গাদাগাদি করে নিয়ে ছাড়া হচ্ছে গাড়ি। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ অভিযান চালালে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকছে, এরপর শুরু হচ্ছে আবার যাত্রী তোলা।
বৃহস্পতিবার সন্ধা ৭ টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে যশোরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল একটি ১৮ সিটের মাইক্রোবাস। পিছনে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি। ২০ গজ যেতেই সেই মাইক্রোবাস টিকে ওভারটেক করে আটকিয়ে দিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভূপালী সরকার। মাইক্রোবাস চালককে করেন এক হাজার টাকা জরিমানা।
এসময় মাইক্রোবাসে থাকা যাত্রীরা মালামাল রেখে পালিয়ে যান। পরে মাইক্রোবাস থেকে মালামাল নামিয়ে দেয় পুলিশ।