জুতা তৈরি ও বিক্রির কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কানু রবি দাস। দামে কম ও আকর্ষণীয় নকশায় চামড়ার পাশাপাশি কাপড়, সিনথেটিক, প্লাস্টিক ও রাবারের জুতা তৈরি করছেন কিশোরগঞ্জের কানু রবি দাস।
সদরের স্বিদ্বেশরী বাড়ির স্বর্গীয় সম্ভু রবি দাসের ছেলে কানু রবিদাস গৌরাঙ্গবাজারে জুতা তৈরি ও বিক্রির কাজ করে আসছেন দীর্ঘ বছর যাবত। এখান থেকে তার প্রতিমাসে দোকানভাড়া ও স্টাফ খরচ বাদ দিয়ে মোটামোটি ভালোই আয় হয়।
কানু রবিদাসের যেভাবে জুতার ব্যবসা শুরু: কানু রবিদাস এর পূর্বে অন্যজনের সাথে পার্টনারে সেগুনবাগিচায় ব্যবসা করতেন। ২০০৭ সালে তার বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি নিজস্ব দোকানে জুতা ব্যবসা শুরু করেন। তিনি যখন জুতার ব্যবসা শুরু করেন তখনও এই ব্যবসা সম্পর্কে তার কোন ধারনা ছিলো না। প্রাথমিক পর্যায় নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে তার এই ব্যবসায় গোড়াপত্তন হয়। তার অক্লান্ত পরিশ্রম ও তীক্ষ বুদ্ধির পরিচালনায় তিনি এখন একজন সল্প পুঁজির সফল ব্যবসায়ীর শ্রেনীভুক্ত।
তিনি জানান, প্রতিদিন ১ ডজন জুতা তৈরী করতে পারেন। জুতা বিক্রি করেই তিনি সংসারের খরচ মিঠাতে পারেন। মা তিন ভাই তিন বোনের সংসার তার আয়ের উপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, জুতার ব্যবসা করতে তেমন কোন অভিঙ্গতার প্রয়োজন হয় না। তবে দোকানের হিসাব রাখা ও বুঝে শুনে মালামাল সংগ্রহ করার দক্ষতা থাকতে হবে। আমার মনে হয় এটা যে কেউ করতে পারবে। তবে এই ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই তাকে পরিশ্রমী হতে হবে। তারপর পছন্দের একটা ব্যপার রয়েছে। কাস্টমার চয়েজ করবে এমন প্রোডাক্ট যদি দোকানে তুলা যায়, তবে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
জুতার ব্যবসায় তেমন কোন রিস্ক নেই বললেই চলে। তবে এই ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই রানিং পয়েন্ট হতে হবে। যদি দোকান রানিং পয়েন্টে না হয়, তাহলে পণ্যে জট বেধে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জট পণ্যগুলো কম মূল্যে ফেরিওয়ালা ব্যবসায়ীদের কাছে সেল দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে কিছুটা লসের সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আমি মনে করি, শুধুমাত্র জুতার ব্যবসাই নয়, বিদেশে যেতে যে পরিমাণ টাকা খরচ করতে হবে সেই পরিমাণ নিয়ে দেশে যেকোন ব্যবসা করলেই ভালো ফল পাওয়া যাবে।