ভৈরবে চাঞ্চল্যকর প্রবাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি অন্তর আদালতে আত্মসমপর্ণ করেছে। বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ ২নং আমলী আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে সে আত্মসমপণূ করে। পরে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ রফিকুল বারী তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ওসি মোঃ শাহিন ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আদালতের এক সিনিয়র আইনজীবি।
গত ১ জুন রাতে বাসষ্ট্যান্ড দূর্জমোড়ে সরদার হোটেলের তালাবদ্ধ শাকিল মটরস অফিসের তালা ভেঙ্গে মহিউদ্দিন প্রবালের মরদেহ উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ। সে নরসিংদীর রায়পুরার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক হোসেন ভ’ইয়ার পুত্র। পরে খবর পেয়ে গোয়েন্দা ( সিআইডি) একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করে। পরে ৩ জুন রাতে নিহতের পিতা হোসেন ভ’ইয়া বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্ল্যেখ করে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
নিহতের ভাই শৈবাল ও তার বাবা জানায়, প্রবালকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ঘুমের চেষ্টা করে অন্তর ও তার সহযোগীরা। মামলা দায়েরের ২ দিন পর মামলার এজাহার নামীয় অভিযুক্ত আক্তার হোসেনের ছেলে রাজন মিয়া (২৬) ও মৃত ফুল মিয়ার ছেলে তৌহিদ (২৫) মিয়া কে আটক করে র্যাব। পরে ১ দিন পর মামলার আরো ১ অভিযুক্ত সাকিব নামে আরো ১ আসামিকে র্যাব আটক করে। এ ছাড়া গেল মঙ্গলবার রাতে মামলার প্রধান আসামি কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান, অন্তরের বাবা জিল্লু রহমানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার এজাহার নামীয় ৬ আসামির মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রাজন ও তৌহিদকে পুলিশ ২ দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে বলে জানাযায়।