ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ বৈশাখী তেল পাম্পের সামনে মহাসড়কের পাশে দু,টি ঝুঁকিপূর্ণ মরাগাছ দাঁড়িয়ে রয়েছে। কালবৈশাখী মৌসুমে পথচারীদের জন্য সড়ক ভয়ঙ্কার হয়ে উঠেছে। যে কোন মূহুর্তে গাছ গুলো রাস্তার উপরে পড়ে প্রানহানীর ঘটনা ঘটতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে গাছ দুটি মরে শুকনা থাকলেও কর্তৃপক্ষ গাছগুলো অপসরণ বা টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা ব্যবস্থা করেনি কর্তৃপক্ষ। মরে শুকনো থাকায় সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলেই ভেঙ্গে পড়বে রাস্তার উপরে। ফলে ওই রাস্তার চলাচলকারী পথচারীরা রয়েছে আতংকে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ওই সব নামী দামি গাছ। আর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। কালীগঞ্জে সড়কের গাছের শুকনা ডাল পড়ে আহত ও নিহত হয়েছে। সরকারি নলডাঙ্গা ভুষন স্কুল সড়ক ও কোটচাদপুর সড়কে পুরাতন কড়াই গাছের ডাল শুকিয়ে রয়েছে। এ সড়ক দিয়ে দিন রাত ২৪ ঘন্টা যানবাহন, সাধারন মানুষের চলাচল রয়েছে।
নিয়মত বাস চালায় এমন একাধিক চালক জানান,সামান্য ঝড় হলেই রাস্তার উপর মরা গাছ উপড়ে বা ভেঙ্গে পরে থাকে। তখন গাড়ী নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় অপেক্ষা করতে হয়। রাস্তা ফাকা না হওয়া পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে বসে থাকতে হয়। কয়েক বছর ধরে এ সড়কে কড়াই গাছ মরে থাকলেও কতৃপক্ষ এখন পর্যন্ত মরা গাছগুলো অপসারণ করতে না পারাই এ রাস্তা মরণ ফাদে পরিণত হয়েছে।
এর আগে শহরে শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছের শুকনা ডাল ভেঙ্গে অল্পের জন্য প্রানে রক্ষা পেয়েছেন পথচারীরা। বৈশাখী মোড়ে রাজু টি ষ্টোরের উপর ডালটি ভেঙ্গে পড়লেও বিদ্যুৎ ও ডিসের তারের কারণে অল্পের জন্য বেচে যায় ৪/৫ টি তাজা প্রান। বাতাসেই ভেঙ্গে পড়েছিল ওই ডালটি।
২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শহরের নতুন বাজারে কেনাকাটা করতে এসে কালীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা আবদুর রউফের স্ত্রী ফাহমিদা খাতুনের মাথার উপর শুকনা ডাল ভেঙ্গে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছিল। এরই দু’বছর আগে শহরের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের গেটের সন্মুখে বাসার ছাদের উপর ডাল পড়ে বলিদাপাড়া গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন নিহত হয়। এভাবে প্রায়ই শুকনো ডাল পড়ে প্রতিদিনই কোন না কোন সড়কের পথচারীরা আহত হচ্ছেন।
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে কালীগঞ্জে সড়কে বড় বড় গাছের ঝুকিপূর্ণ ডালপালা কাটার উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা পরিষদ। কালীগঞ্জ পৌরসভার নলডাঙ্গা ভুষণ হাইস্কুল-মোবারকগঞ্জ চিনিকল পর্যন্ত প্রায় শতাধিক বড় বড় রেনটি গাছ পরিদর্শন ও ঝুকিপুর্ণ গাছের তালিকা করেছিল ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার। সে সময়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেকুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল, বন বিভাগের কর্মকর্তা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
শর্তবর্ষ বয়সী এ গাছ গুলো কালীগঞ্জের ঐহিত্য। শুধু মাত্র ঝুকিপূর্ণ ডাল গুলোই কাটা প্রয়োজন। নতুবা আবার কখন কেউ নিহত বা আহত হতে পারে।