কুড়িগ্রামের কৃতী সন্তান সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের স্মৃতি ধরে রাখতে ‘সৈয়দ শামসুল হক শিশু সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান কার্যক্রমের ঘোষণা দিয়েছে গীতিকার তৌহিদ-উল-ইসলাম পাঠাগার।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত গীতিকার তৌহিদ-উল-ইসলাম পাঠাগাওে শুক্রবার সকাল ১১ টায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণাটি দেন পাঠাগার কর্তৃপক্ষ।
গীতিকার তৌহিদ-উল-ইসলাম পাঠাগারের সভাপতি বিনোদ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গীতিকার তৌহিদ-উল-ইসলাম পাঠাগারের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ নুর মোহাম্মদ মিয়া।
অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিশু সাহিত্যিক ও গীতিকার তৌহিদ-উল-ইসলাম, লাইব্রেরিয়ান হাবিবুর রহমান দুলাল, সাংবাদিক আবদুল আজিজ মজনু, সাংবাদিক জাকারিয়া মিয়া, সাংবাদিক ইউনুছ আলী আনন্দ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিবছরের ২৭ সেপ্টেম্বর সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘সৈয়দ শামসুল হক শিশু সাহিত্য পুরস্কার’ এর জন্য মনোনীত ব্যক্তির নাম ঘোষণা ও কবির জন্মদিন ২৭ ডিসেম্বর পুরস্কার অর্জনকারীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার প্রদান করা হবে। এতে কবি পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
এ সময় সৈয়দ শামসুল হক শিশু সাহিত্য পুরস্কার/২০২১ এ মনোনীত হতে ইচ্ছুক দেশের শিশু সাহিত্যিকদের কাছ থেকে তাদের প্রকাশিত বই আহবান করেছে গীতিকার তৌহিদ-উল-ইসলাম পাঠাগার কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের ৫ কপি নি¤েœর ঠিকানায় পাঠানোর আহবান জানানো হয়।
বই পাঠানোর ঠিকানা- সম্পাদক, গীতিকার তৌহিদ-উল-ইসলাম পাঠাগার, পোঃ নিউ বড়ভিটা, উপজেলা-ফুলবাড়ী, জেলা-কুড়িগ্রাম। শিশুতোষ বই বাছাই করে প্রতিবছর একজন শিশু সাহিত্যিককে মনোনীত করে তাকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হবে বলেও জানান পাঠাগার কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য. গীতিকার তৌহিদ-উল-ইসলাম পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৪২৩ বঙ্গাব্দে। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সাহিত্য-সংস্কৃতির নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কুড়িগ্রামের কৃতী সন্তান সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের নামে ‘সৈয়দ শামসুল হক শিশু সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান কার্যক্রমের ঘোষণাটি গীতিকার তৌহিদ-উল-ইসলাম পাঠাগার কর্তৃপক্ষের জন্য একটি প্রশংসনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।