ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরে গড়ে উঠেছে নসিমন, করিমন, ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান, লাটাহাম্বার ও আলম সাধু তৈরীর অবৈধ যান কারখানা। শহরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এসকল কারখানার মালিক হয়ে রাতারাতি বিপুল অর্থের মালিক বনে যাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে কালীগঞ্জ শহরেই গড়ে উঠেছে এ ধরনের ছোট বড় কারখানা। এসব কারখানা বন্ধের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় না। মালিক পক্ষ অনেক বেশি প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কিছুদিন পর পর মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে তাদের কারখানায় অবৈধ যান তৈরির রামরাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ এধরনের কারখানায় অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত যানবাহন তৈরীর নেই কোনো বৈধ সরকারি অনুমতিপত্র। যা সরকারী ভাবে তৈরি করার নিষিধ রয়েছে। তার পর কারখানা গড়ে তুলে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ব্যবসা।
কালীগঞ্জ কলা হাটার পশ্চিমে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের গা ঘসে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত সবচেয়ে বড় ওয়ার্কসপ এই কারখানা করে অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে অনেক টাকার মালিক হয়েছে সে। মেইন বাসষ্ট্যান্ডে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি এই অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত কারখানা,বৈশাখি মোড়ে, বারবাজার, বিষয়খালিসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ যান তৈরি হচ্ছে। এসকল কারখানায় সরকারী কোনো অনুমতি ছাড়াই দিনরাত চলেছে ইঞ্জিন ভ্যান তৈরির কাজ। এতে করে সরকার একদিকে যেমন বিপুল অঙ্কের টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদিকে ব্যাপক শব্দ দুষণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কারখানার এক শ্রমিক নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানায়, আমরা সবাইকে টাকা দিয়ে কাজ করি। কেমন লাভ হয় জিজ্ঞেস করলে জানায়, আমরা মাসে ৩০ থেকে ৩৫টি ইঞ্জিন ভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান, করিমন, আলমসাধূ ও লাটাহাম্বার তৈরী করে থাকি।
একটি ইঞ্জিনভ্যান তৈরি করতে সকল খরচ বাদে মালিকের লাভ হয় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। শহরের এত কাছাকাছি সরকারের অনুমতি ছাড়াই এসব অবৈধ নসিমন, করিমন, ইঞ্জিনভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান তৈরি হলেও প্রশাসনের কোনো মাথা ব্যথা নেই। এসব অবৈধ কারখানায় দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিশু শ্রমিকরে সংখ্যা। আর এ কারণে প্রতিনিয়ত মহাসড়ক গুলোতে দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। ফলে অকালে প্রান হারাচ্ছে অসংখ্য পথচারীসহ সব বয়সী মানুষ। এসকল অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত গাড়িগুলোর নেই কোনো হর্ন, ব্রেক ও গিয়ার। তাছাড়া অবৈধ ইঞ্জিন ভ্যান, নছিমন, করিমন, আলমসাধু, লটাহাম্বার, ব্যাটারি চালিত আটো ভ্যানের চালকরা অধিকাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু ও অদক্ষ চালক। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এসব অবৈধ যান তৈরি ও চলাচলে বিধি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা না দেখার ভান করে রমরমা ভাবে চালাতে সাহায্য করছে অবৈধ যান তৈরির কারখানা। অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, এসব অবৈধ যান তৈরির কারখানা বন্ধসহ অনতি বিলম্বে সড়কে এসব যান চলাচল বন্ধের ব্যবস্থা না হলে দুর্ঘটনার পরিমান বেড়েই চলবে। এর ফলে পাল্লা দিয়ে অকালে পথচারীদের প্রান হানি বেড়েই চলবে।