গাজীপুরের কাপাসিয়ায় করোনাকালীন সময়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশ মোতাবেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গুচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করে আপদকালীন এই শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
গাজীপুরের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেনের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা মোতাবেক এ পাঠদান হচ্ছে বলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সানজিদা আমীন জানান।
উপজেলা পাবুর ক্লাস্টারের ভাকোয়াদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাবুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাশেরা হেকিম মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উজলী দিঘির পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘাগটিয়া চালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিরটি পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কাপাসিয়া উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ও কোন ভ্যান্যুতে গুচ্ছ পদ্ধতির এ পাঠদান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
গত ২৫ মে থেকে এ গুচ্ছ পদ্ধতিতে ক্লাস শুরু হয়েছে এবং বিদ্যালয় খোলার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে বলে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাযায়।
পাবুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলিমা আক্তার সুইটি জানান, "এ গুচ্ছ পদ্ধতি একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ। শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য, শিশুদের পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করার জন্য গুচ্ছ পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ছাত্র ও অভিভাবকদের হাতে ওয়ার্কসিট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ওয়ার্কসিটের মাধ্যমে সাপ্তাহিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের পড়ার প্রতি আরোবেশি মনোযোগী করে তুলবে।"
ফুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল আলম খান বলেন, "এ গুচ্ছ পদ্ধতি অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ বাড়ছে এবং অভিভাবকগণও এতে দারুণ ভাবে খুশি।"