ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে প্রবলবৃষ্টিপাত ও ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে চলমান বৃষ্টিপাত ও ভারতীয় অভ্যন্তরের উজানের ঢলের পানিতে গোমস্তাপুর উপজেলার বিলাঞ্চলের পাকা ও কেটে রাখা ধানের শত শত বিঘা জমির বোরো ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘূর্ণিঝড়ে বাড়িঘর,মুরগী ও গরুর খামার,আমগাছ ও আমের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে উপজেলায় ১৫ হাজার ৭০ হেক্টর জমির সম্পুর্ণ জমির ধান কৃষকেরা কেটে নিয়েছে। এর মধ্যে ৫’শ ৫০ হেক্টর জমির ধান কেটে উঁচু জায়গায় স্তুপ বা হাঙ্গা করা ছিল সেগুলোর ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবারের নি¤œচাপে এবং ভারতের মালদহ জেলার দমদমা ও কৈলারটেক দাঁড়ার (খাড়ি) দিয়ে আসা ঢলের পানি উপজেলার আলিনগর,বাঙ্গাবাড়ি,রহনপুর, রাধানগর ইউনিয়নের বিলাঞ্চল কেটে রাখা (স্তুপ করে বা হাঙ্গা দেয়া) ধান নিমজ্জিত হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে পানি নিষ্কাশিত হলে কৃষকরা ধান সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন্ করবে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ১৪৫ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে উপজেলা ত্রান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে রহনপুর ইউনিয়নের কলকলিয়া গ্রামের রাজুর মুরগী ও গরুর খামার ঝড়ে উড়ে গিয়ে প্রায় ২০০-২৫০ মুরগীর বাচ্চা মারা গেছে,উপজেলার কিছু এলাকার কিছু বাড়িঘর ও আমগাছ ভেঙ্গে যায় এবং পাকা আম ঝড়ে গেছে।
আলিনগর ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামসহ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা বলেন, গত বৃহস্পতিবার সারাদিন অনেকবৃষ্টি হয়। বৃষ্টিúাতের আগে ও পরে অনেক কৃষক জমিতে গিয়ে কেটে রাখা ধান গুছিয়ে একত্রে রাখে। গুছিয়ে রাখা ধানসহ মাঠে পড়ে থাকা অনেক কৃষকের ধান পানিতে ডুবে যায়। শুক্রবার অনেকে কৃষককে ডুবে যাওয়া ধান সংগ্রহ করতে দেখা যায়। বাবুসহ অনেক কৃষক আরও বলেন, এ এলাকার বিলের পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য মাঠে বয়ে যাওয়া খালগুলো দ্রুত খননের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ই্উএনও) মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন ও ত্রান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে বাঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সাদিরুল ইসলাম ও আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।