কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ ও যশোর মহাসড়কের দু,পাশে এক শ্রেনীর অসাধু কাঠ ব্যাবসায়ীরা আইনের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘর্দিন ধরে মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র গাছের গুঁড়ি রাখছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম সড়কে এভাবে কাঠ রাখার কারণে দূরপাল্লার পরিবহনের চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। জন সচেতনার অভাবে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। পথচারিরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। ওই এলাকার পথচারিরা জানান, আমরা পৌর চেয়ারম্যানকে বলেছি যাতে রাস্তার পাশ থেকে কাঠ ফেলতে না পারে। কিন্তু আজানা কারণে আজ পর্যন্ত কোনো কিছু মানা হয়নি। কিন্তু কালীগঞ্জ পৌর মেয়রের পক্ষথেকে একাধিকবার মাইকিং করা হয়েছে সড়কের পাশে গাছের গুড়ি বা কাঠ না রাখার জন্য। কিন্তু পৌর মেয়রের কথা ও শুনছে না কাঠ ব্যবসায়িরা।
যত্রতত্র কাঠ রাখায়, ঘটছে দুর্ঘটনা। খালি হচ্ছে মায়ের কোল, পঙ্গুত্বের জীবন নিয়ে অনেকের পথ চলতে হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই। এতে করে সাধারণ মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে কালীগঞ্জ টেলিফোন অফিসের সামনে, মাহাতাব উদ্দিন কলেজের পাশে, কলা হাটার মোড়ে, পৌরসভার পাশে, চিনি কলের সামনে, চিনি কলের পাশে কওসার আলীর ইটভাটার সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাস্ততম রাস্তার দু,পাশে অসাধু ব্যবসায়িরা গাছের বড় বড় গুড়ি ফেলে রেখে ব্যবসা করছে।
সর্বসময় মহাসড়কের উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধোরে বড় বড় কাঠের গুড়ি ট্রাকে তোলা হয়। এত করে যানজটের সমস্যা হয়। এসব প্রতিরোধের জন্য পৌরসভা থেকে মাইকিং করা হয়েছে আবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু অসাধু কাঠ ব্যবসায়িদের কোন প্রকার থামানো যাচ্ছে না। এমনকি এরা সরকারি নিয়ম ও আইন কে তোয়াক্কা করছে না। সড়কের পাশে কাঠ ব্যবসায়িদের কোন জায়গা নাই ,কাঠ ফেলে রাখা হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে। সড়কের পাশে কাঠ রাখার কারণে পচ চারিদের যাতায়াত করতে মারাত্নক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার সড়কের উপরে দাঁড় করিয়ে ট্রাকে কাঠ তোলা হয় ঘন্টার পর ঘন্টা। তখন যানজটের কারণে গাড়ির লাইন পড়তে থাকে।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন একাধিক বার চেষ্টা করেছে সড়কের দু,পাশ থেকে গাছের গুড়ি সরানোর জন্য,কিন্তু তখন কাঠ ব্যবসায়িরা রাস্তার পাশ থেকে সরিয়ে একটু দুরে রাখে আবার কিছু দিন পরে যা তাই হয়ে পড়ে। অনেকে বাইসাইকেল ও মটর সাইকেল চালিয়ে যাবার সময় গুড়ির সাথে ধাক্কা মেরে মারাত্নক ভাবে আহত হয়। বিশেষ করে রাতের বেলায় বেশি সমস্যা হয় পথ চারিরা চলার সময় পায়ে বেধে পড়ে গিয়ে আহত হয়। গ্রাম এলাকার অনেকে ছোট বড় গাছ কেটে শহরে বিক্রি করতে আসে, তখন গাছের গাড়ি সড়কের উপরে রেখে কিনা বেচা হয়। এ সময় যানজটের সৃষ্টি হয়। কালীগঞ্জের সচেতন মহল বলছে পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন একটু নজর দিলে অসাধু কাঠ ব্যবসায়িরা মহা সড়কের পাশে গাছ রাখা বন্ধ করে দিবে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জোরালো ভুমিকা না থাকার কারণে ব্যবসায়িরা সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। একাধিক কাঠ ব্যবসায়িদের নিজস্ব কোন ঘর বা জায়গা নেই। তারা সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে কাঠ রেখে ব্যবসা করছে।
সড়কের পাশে গাছ রাখার কারণে রাতে নেশা সেবন কারিরা কাঠের উপরে বসে নেশা সেবন করে। সড়কের দু,পাশে আবাসিক এলাকা। নেশার গন্ধে বাড়ির লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। সব মিলিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর প্রশাসন একটু নজর দিয়ে বিষয়টি আমলে নিলে পরিবেশ ভাল হত ও মহাসড়কের দু,পাশ পরিস্কার হত। যেসব স্থানে কাঠ রাখা হয় সেব স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে কাঠের মিল। আর কাঠের মিল গুলো সবই আবাসিক এলাকার মধ্যে বসিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাঠ কাটা হয়। এত করে পরিবেশের মারাত্নক সমস্যা হয়। অনেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অবেদন করে ও কোন উপকারে আসেনি।