শৈলকুপা লাঙ্গলবাঁধ সড়কের বরিয়া ও হরিহরা নামক স্থানে পাকা সড়কের পাশে অবস্থিত টিটো ব্রিক্ স ও ইমরান ভাটার কারেেন দেখে বোঝার কোন উপায় নেই এটা পাকা সড়ক না কাচাঁ রাস্তা। প্রতিদিনই ইটভাটার ট্রাকে ও ট্রলিতে করে ইটভাটায় নেওয়া মাটি পড়ে সড়কটির এখন বেহাল অবস্থা। শুকনা মৌসুমে ধুলাবালি আর বৃষ্টি হলে কাদা মাটিতে একাকার হয়ে জনসাধারনের চলাচলের একেবাবে অনুপযোগী হয়ে পরে। ইটের ২টি ভাঁটা মেইন সড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় ভাটার মালিকরা ইট বানানোর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে ট্রাক্টর ও ছোট গাড়িতে বিভিন্ন যায়গা থেকে মাটি এনে রাস্তার পাশে ফেলে রাখায় এই অবস্থার সৃষ্টি হ্েচ্ছ বছরের পর বছর ধরে। যে কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটেচলেছে। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচল একেবারেই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে মোটর সাইকেল ও ছোট ছোট গাড়ির চালকরা। সড়কটি ২৪ ঘন্টা ব্যাস্ত্য থাকে। এ ছাড়াও উপজেলার কামান্ন, কুমিড়াদহ, আউশিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ইটের ভাটার কারণে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক গুলোর ও একই দশা। কাদা-মাটিতে একাকার হয়ে সড়ক গুলো আগামী বর্ষা মৌসুমে মরণ ফাঁদে পরিনত হবে। ফলে এসব সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা হাঁটা পথে যেতেও চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হবে পথচারীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে বরিয়া ও হরিহরা নামক স্থানেসড়কের পাশে ২টি ইট ভাটার অবৈধভাবে চলা ট্রাক্টর, ট্রলি, ট্রাক পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি নিয়ে ইটভাটায় চলাচল করার সময় এসব যানবাহন থেকে মাটি রাস্তায় পড়ে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ইটভাটার ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যানের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করায় অতিরিক্ত মাটি সড়কে পড়ে। শুকনা মৌসুমে সেই মাটি থেকে ধুলোর সৃষ্টি হয় ফলে পথচারিদের ধুলো বালিতে চলাচলে স্থানীয়দের বসবাস করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।এদিকে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে এসব সড়কে এতটাই পিচ্ছিল হয়েছে যে, গাড়ী চলাচল তো দূরের কথা হেটেও চলাচল করা যাচ্ছে না। এ ২টা ইট ভাটার সামনের সড়ক দিয়ে অন্তত ৫০ গ্রামের মানুষ ও ট্রাক, ভ্যান, ইজিবাইক ,অটো রিক্সা, মটর সাইকেল সব সময় চলাচল করে থাকে। এ ব্যাপারে বিপ্রবগদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাচ্চু জোয়াদ্দার জানান, ইটভাটার মাটির কারণে যে ভাবে ধুলাবালির সৃষ্টি হয়েছে তাতে পথচারিদের চলাচলের চরম অসুবিধা হচ্ছে, সেই সাথে আগামী বর্ষা মৌসুমে এই সড়ক দিয়ে চলাচলই করা যাবেনা।হরিহরা নামক স্থানে টিটো ব্রিক্ স এর মালিক মোছাঃ রোকেয়া খাতুন জানান, রাস্তার পাশে ভাঁটা তো রাস্তার উপর যে মাটি পরে তা আমরা লেবার দিয়ে সড়িয়ে নিয়ে থাকি।
এই সড়কে চলাচল করা একাধিক মটর সাইকেল চালক জানান, ইটভাটার কাজে নিয়োজিত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় কি যে ধুলা আর বর্ষায় কাঁদা হয়ে থাকে দেখে বুঝার উপায় থাকে না এটা পাকা না কাঁচা রাস্তা। এতে বছর জুড়েই এই সড়কে চলাচল করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না যায় তাহলে কিছু দিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে আগামী বর্ষা মৌসুম তো আছেই। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ( এসি ল্যান্ড) পার্থ প্রথীম শীল জানান, এ ব্যাপারে আমরা খুব দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে আইন গত ব্যবস্থা নিব।