শৈলকুাপায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ্এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ দিনে প্রায় ১৫০ জন রোগী শৈলকুপা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: রাশেদ আল মামুন জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময়ে শিশুদের প্রতি যতœশীল থাকতে হবে। পাতলা পায়না ও বমি শুরু হলে শিশুকে মুখে খাবার স্যালাইন বার বার খাওয়ানো ও মায়ের বুকের দুধও খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।এছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সব সময় হাত পরিষ্কার রাখারও পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। ডায়রিয়া রোগিদের সেবা প্রদানের জন্য সকল প্রকার ওষুধ, থাকলেও স্যালাইন, এ্যান্টিবাইটিক ওষুধ ও বাচ্চাদের সিরাপ সংকট রয়েছে বলে জানান শৈলকুপা হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সুজায়েত হাসেন। তিনি আরো জানান এসব ওষুধ হাসপাতালে না থাকার কারণে রোগীদের দিতে পারছে না। তবে সব রোগিদের প্রয়োজন হচ্ছে না যাদের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে এটা বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। গত ৬/৭ মাস বৃষ্টি না হওয়ায় প্রচন্ড গরমের কারণে এপ্রিল মাস থেকে থেকে হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হয়ে রোগের তীব্রতা বেড়ে যায়। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগীদের অনেক সময় হাসপাতাল করিডোরের মেঝেতে রাখতে হচ্ছে। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক এবং কর্মচারীরা। ডায়রিয়া রোগীরা সম্পুর্ন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।অভিভাবকরা জানান, তাদের বাচ্চাদের হঠাৎ করে ডায়রিয়া শুারু হয়। বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে তারা। এ ব্যাপারে বসন্তপুর গ্রাম থেকে আসা ডায়রিয়া রোগী ইয়াসিন আরাফতের(৫) বাবা মাসুদ আহাম্মেদ জানান, তার বাচ্ছার একনাগাড়ে পাতলা পায়খানা হচ্ছিল এ কারণে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। কাতলা গাড়ীর গ্রামের অকলিমা খাতুন জানান, তার শিশুর হঠাত করেই ঠান্ডা ও পাতলা পায়খানা শুরু হয় পরে তারা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের মতো অনেকে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা রাশেদ আল মামুন জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে তবে এদের মধ্যে শিশু রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ১৫দিনে প্রায় ১৫০ জন ডারিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতি নিয়ত শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি জানান মুলত আবহাওয়ার কারণে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় শিশুদের একটু যতœ সহকারে রাখতে হবে। তবে আতঙ্কিত হবার কিছু নেই।