ঈদের জন্য নতুন পোশাক কেনার পর নতুন জুতা কিনতে ভীড় জমছে কালীগঞ্জ শহরের জুতার দোকান গুলোতে। জুতা কিনতে গিয়ে ক্রেতারা খেয়াল রাখছেন বেশকিছু বিষয। পোশাকের ডিজাইন, রঙ, আরামদায়ক কিনা ইত্যাদি। সব মিলিয়ে এবারের ঈদে সব ধরণের জুতার প্রতিই ক্রেতার থাকছে বাড়তি নজর। অবশ্য লকডাউন ও করোনার কারণে ব্যবসায়িরা তাদের দোকানে এবার জুতা এনেছেন একটু বেশি ব্যায় করে।
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরের জুতার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, সাদা কালো, আকাশী নীল, মেরুন কিংবা গাঢ় লাল বেল্টের ওপর পাথর, চুমকি, কাঠ বা পুতি বসানো ফ্ল্যাট স্যান্ডেল তরুনীদের মন কাড়ছে বেশি। এর কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে ভিআইপি দোকানের মালিক সাইফুদ্দিন কেরু জানান, ঈদে মেয়েদের চলছে লম্বা কামিজ। এই ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে মাঝারি উচুঁ হিলের নানা ডিজাইনের স্যান্ডেল পছন্দ করছেন তরুণীরা। আবার কেউ পাতলা স্যান্ডেল পছন্দ করছে। কেবল তরুণীদের জন্য নয় ছোটদের জন্যও এসেছে নানা ডিজাইনের জুতা। এছাড়াও বিভিন্ন জুতা কোম্পানির ডালিতেও রয়েছে নানা ডিজাইন। ঈদুল ফেতর উপলক্ষে বিভিন্ন জুতার দোকানে এনেছে প্রায় কয়েকশো ডিজাইন। অনেকে ঈদে এবার ৩ হাজার টাকায় জুতা কিনেছেন। দামী ব্যান্ডের জুতা ঈদে মানায় বলে ক্রেতারা কিনেছেন।
ঈদকে সামনে রেখে পোশাকের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক পণ্য কিনতে সবাই এখন মহাব্যাস্ত কেনাকাটার অন্যতম আকর্ষণ নতুন জুতো। ক্রেতাদের চাহিদা, পছন্দ আর সাধ্যের কথা মাথায় রেখে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ডিজাইনের জুতো বাজারে এনেছে উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গুলো। নানা রং আর বাহারি ডিজাইনের এসব জুতো-স্যান্ডেলের খোঁজে ফ্যাশন সচেতন তরুণী ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ছুটছেন মার্কেট, বিপণিবিতান ও শপিংমলে। দোকানিরা জানিয়েছেন, দাম একটু বেশি হলেও ঈদে দেশী জুতো-স্যান্ডেলের প্রতিই আগ্রহ বেশি দেখাচ্ছেন ক্রেতারা। ঈদ বাজারে জুতার দোকান গুলোতে ক্রেতাদের এখন উপচেপড়া ভিড়। জুতোর কেনাকাটায় বাটা, এপেক্সে, লিবার্টি, ভিআইপি, স¤্রাট, ড্যান্ডি, বার্মিসসহ নামী-বেনামী সব ধরনের ব্রান্ডের জুতো বিক্রি হচ্ছে। শুধু ব্র্যান্ডের দোকানে নয়, দোকানে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সব পোশাকের সঙ্গে পরা যায় এমন জুতোর চাহিদাই ক্রেতাদের কাছে বেশি। তবে ফ্যাশন এবং টেকসইয়ের দিকটা মাথায় রেখে ক্রেতারা ব্র্যান্ডের দোকান গুলোতেই ভিড় জমাচ্ছেন বেশি। ঈদ উপলক্ষে সব ব্র্যান্ডের শোরুমেই নতুন ডিজাইনের জুতো এসেছে। জুতো ব্যবসায়ীরা বলেছেন, ঈদে অন্যান্য জিনিসের চেয়ে জুতোর প্রতি সব শ্রেনীর মানুষের রয়েছে বাড়তি আকর্ষণ। আর দীর্ঘ প্রত্যাশিত ঈদে পায়ে নতুন জুতো থাকবে না তা তো কল্পনাই করা যায় না। দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। ইতোমধ্যে অধিকাংশ মানুষেরই নতুন পোষাক কেনা শেষ। এখন সেই পোষাকের সঙ্গে মিলিয়ে কিনছেন জুতা। বাজারে বিশেষ করে ছোটদের জুতা বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। কারণ ছোটদের কাছে ঈদের আনন্দ ভিন্ন এক উৎসব হয়ে ধরা দেয়। আর সেই উৎসবে নতুন জুতা না হলে কি চলে, আর নারীরা নতুন পোষাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা পরবেন না- তাই বা হয় নাকি। আর ছেলেদের নতুন পাজামা-পঞ্জাবির সঙ্গে নতুন জুতা না হলে ঈদের আনন্দই পূর্ণতা পায় না
অনেকে বলছেন,পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং করে জুতো কিনেছি। তবে গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশিই মনে হয়েছে। দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে দোকানের বিক্রিয় কর্মীরা জানালেন, উৎপাদন খরচ আগের চেয়ে অনেকাংশে বেড়েছে। একদিকে লক ডাউন অন্যদিকে করোনার কারণে ব্যবসায়িদের নতুন জুতা দোকানে আনতে বড় ধরনের সমস্যা ও ব্যায় বেশি হয়েছে। ব্যবসায়িরা ক্রেতাদের কাছ থেকে অনেক টা বেশি দামে জুতা বিক্রি করছে এমন অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের। লকডাউনের অজু হাত দেখিয়ে জুতা ব্যবসায়িরা দাম হাকিয়ে নিচ্ছে। ক্রেতারা তাদের পছন্দের জুতার দাম বেশি হলে ও ঈদ মানে খুশি এ কারণে বেশি দামে নিয়ে যাচ্ছে।