গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক সালামের আটারকল এলাকায় গত রোববার রাতে পিতা ও পুত্রকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ৪৭নং ওয়ার্ডের কথিত যুবলীগ নেতা খলিল গাজীর বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর গুরুতর আহত সাখাওয়াত হোসেন খান (৪৫) ও তাঁর ছেলে পলাশ খানকে (২০) উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় খলিল গাজী, আশিকুর রহমান তারেক, কামরুল, সিরাজ ও মনির হোসেনের এর বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত সাখাওয়াত হোসেন জানান, ঘটনারদিন রাত আনুমানিক ১০টার দিকে তার ছেলে পলাশ মরকুন গুদারা ঘাট এলাকার একটি বাড়িতে ইলেকট্রিক কাজ শেষে নিজ বাসায় ফেরার পথে সালামের আটারকল এলাকায় পৌছলে যুবলীগ নেতা খলিল গাজীর নেতৃত্বে আশিকুর রহমান
তারেক, কামরুল, সিরাজ ও মনিরসহ বেশ কয়েকজন দূর্বৃত্ত পলাশের পথরোধ করে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। জীবন বাঁচাতে পলাশ দৌঁড়ে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানে আটকে ইট ও লোহার রড দিয়ে তার হাত-পা থেতলে দেয়া হয়। এ সময় হামলাকারী খলিল গাজীর পায়ে ধরলেও মন গলেনি তাদের। পরে পলাশের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তারা পলাশের বাবা সাখাওয়াত খানকে ডেকে নিয়ে বাবা ছেলেকে একসাথে বেঁধে বেধড়ক পিটুনি দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গী হাসপাতালে পাঠায়।
এবিষয়ে যুবলীগ নেতা খলিল গাজীর সাথে যোগাযোগ করলে তার নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে জখম করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এখানে অন্য কাহিনি আছে।
এব্যাপারে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.দেলোয়ার হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।