অর্থ সংকটের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত ৬ বছরের শিশু সাগর আর নেই। গত বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের নাদেরাবাদ গ্রামের নিজ বাড়িতে শিশুটি মারা যায়। ইন্নালিল্লাহে.....রাজেউন। দুপুর ২টার দিকে জানাযা নামাজ শেষে নাদেরাবাদ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাগরের পিতা বাবলু জানান, ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট। ৩ বছর বয়সে সাগরের পেটে ব্যথা দেখা দেয়। এ ব্যথা থেকে সমস্ত শরীর ফুলে যায়। চিকিৎসা করে ধরা পড়ে ক্যান্সার। প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করানো হয়। পরে অর্থের অভাবে হোমিওপাথি চিকিৎসা করানো হয়। গত ৫ মাস থেকে তার চোখের সমস্যা দেখা দেয়। পরবর্তীতে দু’চোখ ফুলে যায়। সে আর দেখতে পেতনা। তাকে আবারও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা ক্যান্সারে উন্নত চিকিৎসা করতে পরামর্শ দেন। ভ্যানের উপরে বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে পরিবারের খরচ ও সাগরের চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছিল না। স্থানীয় সাংবাদিকরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছেলে সাগরের সাহায্যের সংবাদ প্রকাশিত করে। সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড.মো. হুমায়ুন কবীর সাগরের চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান দেন এবং চিকিৎসার সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আশস্ত করেন। অনেকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাক দেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসা করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। অবশেষে বুধবার সকালে সাগর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এদিকে সাগরের মৃত্যুতে এলাকায় হ্নদয়বিদারক শোকের ছায়া নেমে আসে।