ব্রী-ধান ২৮ জাতের আগাম ধানের ফলন ভাল হওয়ায় এই ধান চাষে আশুগঞ্জে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছে।প্রতিবছর ব্রী-ধান ২৮ জাতের ধান চাষের পরিমাণ বাড়ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় চলতি বছর বুরো ধানের চাষ হয়েছে চারহাজার তিনশত চল্লিশ হেক্টর।এরমধ্যে ব্রী-ধান ২৮ জাতের আগাম ধান চাষ হয়েছে এক হাজার হেক্টর। কৃষকরা আগাম জাতের ব্রী-ধান ২৮ ধান চাষ করে আগেভাগে কেটে ফেলতে পারায় এবং ধানের ন্যায্য দাম পাওয়ায় খুশি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস জানায় ব্রী-ধান ২৮ জাতের আগাম ধান দ্রুত ফলণ পাওয়ায় আশুগঞ্জে বছরের পর এই ধান চাষ জনপ্রীয় হয়ে উঠছে।এতে গত তিনচার বছর ধরে এই ধান চাষে আশুগঞ্জের কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠেছে।এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর আশুগঞ্জে রেকড পরিমাণ চলতি বছর ব্রী-ধান ২৮ জাতের আগাম ধান চাষ হয়েছে এক হাজার হেক্টর। আগাম জাতের ব্রী-ধান আটাশ চাষ করে আগেই কেটে ফেলতে পারছে।এতে কৃষকরা ধানের ন্যায্য মুর্য পেয়ে খুশি। আশুগঞ্জ চরচারতলা ইউনিয়নের কৃষক শফিক বলেন উপজেলা কৃষি অফিসের ধান চাষে দেখাশুনা এবং সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নেওয়ার কারণে এবছর আমরা আটাশ আগাম জাতের ধান চাষ করে লাভবান হয়েছি।সর্বপুরি ধান আগে কাটতে পেরে লাভবান হয়েিেছ।বর্তমানে কাঁচা প্রতিমণ ধান আশুগঞ্জের বাজাওে বিক্রি করতে পারছি সাড়ে আটশত থেকে নয়শত টাকায়।
এব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুন্সি তোফায়েল আহমেদ বলেন ব্রী-ধান ২৮ জাতের আগাম ধানের ফলন ভাল হওয়ায় এই ধান আশুগঞ্জে প্রতিবছর চাষের পরিমাণ বাড়ছে।এই ধান চাষ করে আগে কেটে ফেলতে পারায় তারা দাম ভাল পাচ্ছে এবং এতে কৃষকরা খুশি। আশুগঞ্জের কৃষকরা সরকারের কাছে দাবী করছেন প্রধান খাদ্যশষ্য উৎপাদনে এবং ধানের ন্যায্য মুল্য যেন কৃষকরা প্রতিবছরই পায় সেই বিষয়টি সরকার নিশ্চিত করতে সার্বক্ষনিক নজর রাখবেন এমনটাই আশা করছেন।