কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী, অষ্টগ্রাম ও মিঠামন হাওরে বি আর- ২৮ ও বি আর- ২৯ ধান কাটা শুরু হয়েছে সোমবারসহ এক সপ্তাহ আগে থেকে। এবার গতকিছু দিন আগে প্রায় দুই ঘন্টা থেকে তিন ঘন্টা বালির গরম বাতাসে সবচেয়ে বেশি অর্ধপাকা ধানের বিআর- ২৮ ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বিআর- ২৯ ধানের মড় পড়ে যাওয়ার কারণে কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। এ পাচঁটি উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এ বাতাসে শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ বিভিন্ন ধানের মড় পড়ে যাওয়ার কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর এ পাঁচটি উপজেলার ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল কয়েক লক্ষ টন। কিন্তু এ বাতাস হওয়ার কারণে ধানের মড় পড়ায় লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে কিছু কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, দেশে এখন নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে সারা বিশ্ব। অন্য দিকে ধানের ক্ষতি হওয়ার কারণে কৃষকদের মন একেবারে নড়েবড়ে হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, হাওরের কৃষকরা বিভিন্ন এনজিও, মধ্যসত্তভোগীদের নিকট থেকে চড়া সুদে ঋণ এনে ধানের জমি চাষ করেন। কিন্তু এ কড়াল গ্রাসে কৃষকরা যেখানে গোলাভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু থাকার কথা সেখানে কৃষক সর্বশান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মধ্যসত্তভোগীদের ঋণ দিতে গিয়ে কৃষক অকূল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজিতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.বি.এম রকিবুল হাসান এ প্রতিবেদককে জানান, গরম বাতাসে ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।