কিশোরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের ডাকে হরতাল পালিত হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে চট্রগ্রাম ও ব্রাষ্মনবাড়িয়ায় নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে হেফাজতের ডাকা সারা দেশে হরতাল কর্মসুচীর অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। রোববার সকালে কিশোরগঞ্জ শহরে খন্ড খন্ড মিছিল সমাবেশ করলেও কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরের প্রধান সড়ক বন্ধ করে মিছিল সমাবেশ করছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। জেলা শহরের স্টেশন রোডস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অফিসের চেয়ার, টেবিল, আসবাবপত্রসহ জাতীয় নেতাদের ছবি ভাংচুর করে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ হামলাকারীদেরকে ধাওয়া করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পুরো শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ, বিজিবি ও আমর্ড ব্যাটালিয়ান পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
হেফাজতের ডাকে হরতালের সমর্থনে স্থানীয় ইমাম উলামা পরিষদ এর নেতাকর্মীরাও অংশ নেয়। তবে কিশোরগঞ্জ ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি শাইখুল হাদীস আল্লামা শফিকুর রহমান জালালাবাদী গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইমাম উলামা পরিষদের নেতাকর্মী ও ছাত্র জনতা ধর্মপ্রিয় তৌহিদী জনতাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি কর্মসূচি স্তগিতের জন্য। বেলা বারটার ভেতরেই শহীদী মসজিত চত্বরে মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচি স্তগিত করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ অফিসে কে বা কারা ভাংচুর করেছে তা আমাদের জানা নেই।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) গনমাধ্যমকে জানান, ওঁরা কর্মসূচি স্তগিত করার পরেও উত্তেজিত কারা ভাংচুর করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেকোনো অন্যায়ের বিচার অবশ্যই হবে। জেলা আওয়ামী অফিস ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, হরতালের পরিস্থিতিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সারা জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।