কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার আওতাধীন গড়াই নদীর চাদট মৌজার বালুমহল ইজারর নামে ঝিনাইদহের শৈলকুপার কৃষ্ণনগর মৌজার ফসলী জমি থেকে বালু কেটে গভীর খাদে পরিনত করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। ফলে বর্ষা মৌসুমে কৃষ্ণনগর গ্রামে নতুন এলাকায় গড়াই নদীর ভাঙন দেখা দিতে পারে। এরই মাঝে গড়াই নদীর ভাঙনে বিলিন হয়েছে কৃষ্ণনগরের পাশর্^বর্তী বরুরিয়া গ্রাম।এদিকে এসব বালুর ট্রাক চলাচলের কারণে শৈলকুপা উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জিকে খালের উপর অবস্থিত কাতলা গাড়ি, খুলুমবাড়িয়া, শহীদনগর সহ বিভিন্ন এলাকার সংযোগ রাস্ত্র ব্রীজের রেলিং ও উপরের ঢালাই ভেঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে বালু বোঝাই ট্রাক শৈলকুপা উপজেলার গ্রাম গন্জের মধ্যে দিয়ে যে ভাবে দ্রুত গতিতে যাতায়াত করছে তাতে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন রয়েছে নিরব ভুমিকায়।
খোজ নিয়ে জানা যায় গত ৭ জানুয়ারী কুষ্টিয়ার জেলার বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় খোকসা উপজেলার চাদট মৌজার বালুমহল বাংলা ১লা মাঘ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ১৬ লক্ষ টাকায় তিন মাসের জন্য ইজারা পান শৈলকুপা উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের ওমেদ আলী বিশ^াসের ছেলে মিরাজ বিশ^াস। এলাকা ঘুরে দেখা যায় খোকসার চাদট মৌজার বালু উত্তোলনের কার্যাদেশ থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে ইজারাদার শৈলকুপার ৫৭ নং কৃষ্ণনগর মৌজার ফসলী জমি ২০/৩০ ফিট গভীর করে কেটে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে। শৈলকুপার কৃষ্ণনগর গ্রামের আসাদ শেখ জানান, কৃষ্ণনগর চরের তার ফসলী জমি থেকে মসুর সহ মাটি ও বালি কেটে নেওয়া হয়েছে। একই গ্রামের মনোয়ার হোসেন জানান ইজারার নামে গড়াই নদীর শৈলকুপা অংশের চর এলাকার মাঠ থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালি কেটে নেওয়া হচ্ছে কিন্তু তারা কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।
শৈলকুপার চর এলাকার ফসলী জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন নিয়ে চাদট বালুমহলের ইজারাদারের সহযোগী আনসার বিশ^াসের সাথে কথা হলে তিনি জানান জমির মালিক তাদের কাছে মাটি বিক্রি করেছে তাই তিনি কেটে নিচ্ছেন।
শৈলকুপা অংশের চর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) পার্থ প্রতিম শীল জানান এমন অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। অভিযোগটি লিখিত আকারে কুষ্টিয়া জেলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দু একদিনের মধ্যে কৃষ্ণনগর চর এলাকা পরিদর্শন করা হবে বলে তিনি জানান।