কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পিরিজপুর ইনসান মিয়ার মেলার পাশে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমন মিয়া সহ ৪-৫ জন দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে হামলা চালালে দশম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ আল আকাশ উরফে লাদেন (১৬) কে গুরুতর আহত করে। পরে আব্দুল্লাহ আল আকাশকে বাজিতপুর ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় পুলিশ হত্যাকারী সরারচর ইউনিয়নের কৈকুড়ী গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সুমন মিয়া (২৫) কে মেলায় অবস্থানরত এলাকার জনগন পুলিশের নিকট সুপর্দ করেন। এই ঘটনায় মোঃ ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে সজিন মিয়া (১৮) কে গুরুতর আহত অবস্থায় জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, মোঃ সুমন মিয়া ও তার সহপাঠী ৪-৫ জন পূর্ব আক্রোশের ভিত্তিতে নিহত আব্দুল্লাহ আল আকাশ কে ধারালো চুরি দিয়ে বাম কানের নিচে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। তখন সজিন মিয়া রক্ষা করতে গিয়ে (আকাশ কে) গুরুতর আহত হন। এই পরিস্থিতি দেখে দক্ষিণ পিরিজপুরের ইনসান মিয়ার মেলাটি দুইদিন আগেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মেলা বন্ধ করে দেয়। এদিকে একই উপজেলার কৈলাগ ইউনিয়নের কুকরারাই সিরাজ নগর গ্রামে মৃত দ্বীন ইসলামের ছেলে আল-আমিন (৩৬) গুরুতর আহত অবস্থায় ৭ দিন জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোর রাতে মারা যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে গত বৃহস্পতিবার পূর্ব সূত্রতার জের ধরে, কৈলাগ ইউনিয়নের কুকরারাই জারমনি বাড়ীর আতর মিয়ার নির্দেশে জাহাঙ্গীর, মাসুম, মামুন, লাদেন, ছানু মিয়া, ফেনু মিয়া, শাহীন মিয়া, মকবুল মিয়া, শাহান মিয়া, দুলাল মিয়া, সহ ৩০-৩৫ জন লোক বেরিকেট দিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে আক্রমণ চালালে আল আমিন (৩৬) গুরুতর আহত হয়। তার মৃত্যুর খবর শুনে এলাকাবাসী জারমনি গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (৫৫) কে পুলিশ আটক করেছে। এই দুটি পৃথক খুনের ঘটনায় ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ মর্গে লাশ পাঠিয়েছে। বাজিতপুর থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। দুই জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।