নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুরে কারখানায়, বসত ঘরে হামলা ভাংচুর, স্বর্ণালংকার লুটপাট এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে মনাববন্ধন করেছে ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। সোমবার দুপুরে ওই উপজেলার রসুলপুরে এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভূক্তভোগী সুলতান আহমেদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন, শিক্ষক নেতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগে সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম দুলাল, রসুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল খালেক, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মাসুদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে ভূক্তভোগী সুলতান আহমেদ অভিযোগ করেন, রসুলপুর গ্রামের মফজল হক মিয়ার ছেলে জবর দখলকারী ছায়েদুল হক ও নুরুল হক গত ১৯ ফেব্রুয়ারী রাত ২টায় ২৫-৩০জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার মালিকীয়,দখলীয় ঘরে আমার ভাড়াটিয়া মাসুদুর রহমানের এর কারখানায় হামলা করে গ্র্যান্ডিং মেশিন দিয়ে কারখানার লোহার গেইট কেটে ভিতরে ঢুকে কারখানার আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ছায়েদুল হকের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা দা- চেনি, লোহার রড, হাতুড়ী, চাপাতি দিয়ে কারখানায় ভাংচুর করে। তিনি পুলিশের জরুরী সেবা পেতে ৯৯৯ নম্বার কল দিলে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মহিন (২৭) ও নিজাম হোসেন (২৪) কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অন্যরা পুলিশের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়।এরপর একই রাতে ৩টার দিকে পুনরায় তার বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে কুপিয়ে আমার পুত্র হুমায়ন কবির (২৪) কে মারাত্মক জখম করে। এ সময় ছায়েদুল হক ও খোকা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলাটিপে ধরে ও হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আলমারি থেকে প্রায় ৭ ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। পুনরায় ৯৯৯ নাম্বার কল দিলে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ আহতদেরকে উদ্ধার করে বেগমগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ছায়েদুল হক (৫০), নুরুল হক (৫৫) সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০জনকে আসামি করে সুলতান আহমেদ একটি মামলা করে। মামলা নং- ৪২, তাং- ১৯/০২/২০২১ইং।
আমরা আজকের এই মানববন্ধন থেকে ছায়েদুল হক-নুরুল হক এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শান্তি দাবী করছি।