পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি শরীফ আহম্মেদ আসিফ। এদিকে সদ্য ঘোষিত কমিটির বিভিন্ন পদে থাকা ছয়জন এ সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা দুই টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি শরীফ আহম্মেদ আসিফ। গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শরীফ আহম্মেদ আসিফ বলেন, ‘গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতের আঁধারে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিভিন্ন পদে ২২ সদস্যের কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়। রাতের আঁধারে সদ্য ঘোষিত এ কমিটি বাতিল করে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পূর্বের কমিটি দিয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে সকলের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি ঘোষণার আহ্বান জানাই।’ এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগ অর্থের বিনিময়ে গঠনতন্ত্র অনুসরণ না করে কোন প্রার্থীর কাছে জীবন বৃত্তান্ত চাওয়া হয়নি। ফলে সদ্য ঘোষিত এ কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রনি খানের উভয় পরিবারই বিএনপি জামায়েতের রাজনীতির সাথে জড়িত এবং তাদের পরিবার বিভিন্ন পদপদবীতে বহাল আছেন। এ তথ্য গোপণ রাখা হয়েছে। তাই সাধারণ নেতা-কর্মীদের দাবি, সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করা হোক।’
অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনে সদ্য ঘোষিত কমিটির বিভিন্ন পদে থাকা ছয়জন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরা হলেন, সহসভাপতি আজিজুর রহমান শাওন, যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সাংগঠনিক শাকিল মাহমুদ সুজন, শুভংকর ম-ল ও রাব্বি তালুকদার।
শরীফ আহম্মেদ আসিফ সংবাদ সম্মেলন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সদ্যঘোষিত অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ কমিটি বিলুপ্তির দাবি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে গেলে একপর্যায়ে আমার ও আমার সঙ্গে থাকা কর্মীদের ওপর সোহেল ও রনির নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এ সময় অফিসের চেয়ার ও জাতির জনকের ছবিও ভাংচুর করা হয়। উল্টো ঘটনটি আমাদের ওপর চাপিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।’
সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম সোহেল বলেন, যারা আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করে তারা কেমন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে চায়। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে আবেদন রাখছি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাসান সিকদার বলেন, গলাচিপা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ গত প্রায় ছয় মাস আগেই শেষ হয়ে গেছে। সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আসিফ গত কমিটিতে সভাপতি থাকাকালীন সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেননি। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় করোনাকালীন সময়ে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু গঠণতন্ত্র মোতাবেক নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।