রাজবাড়ী শহরের আরোগ্য ক্লিনিকে রোগীর ভুল অস্ত্রপচার করার অভিযোগ উঠেছে। শহরের বড়পুল মোড়ে এই ক্লিনিক অবস্থিত। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এই অস্ত্রপচার করা হয়।
ভুক্তভোগির নাম রাবেয়া বেগম (৭০)। তিনি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলৎদিয়া ইউনিয়নের বরকত সরদারপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর স্বামীর নাম সামশুল ফকীর।
ভুক্তভোগির মেয়ে রিজিয়া বেগম অভিযোগ করেন, প্রায় চারবছর ধরে আমার মায়ের জরায়ুতে সমস্যা দেখা দেয়। রক্ত ভাঙ্গে। বিভিন্ন স্থানে তাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। প্রায় মাসখানেক আগে আরোগ্য ক্লিনিকের মার্কেটিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে অপারেশন করার বিষয়ে যোগাযোগ করি। কয়েকদিন আগে ফরিদপুর থেকে মায়ের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করেছি। সোমবার আবারও আমার ভাইয়ের সঙ্গে এসে কাগজপত্র নিয়ে রফিকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এ সময় ১৫ হাজার পাঁচশ টাকায় চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুয়ায়ি, জরায়ু অপারেশন, বেডভাড়া বাবদ আর কোনো টাকা দিতে হবে না। মঙ্গলবার সকালে এনে মাকে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৪টার দিকে তাঁর অপারেশন করা হয়। অপারেশনর পরে মায়ের বুকে অপারেশনের চিহ্ন দেখতে পাই। এরপর আমরা চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি পিত্তথলির অপারেশন করেছেন বলে জানান। কিন্তু আমার মায়ের বুকে কোনো সমস্যা ছিল না।
আলীমুদ্দিন ফকীর বলেন, আমরা সীমিত আয়ের মানুষ। মায়ের জরায়ু সমস্যা নিয়ে আমরা খুব মানসিক সমস্যায় ছিলাম। পিত্তথলিতে সমস্যা থাকলে তা পরে সমাধান করতাম। কারণ পিত্তথলির জন্য বুকে ব্যাথা বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। ক্লিনিকের লোকজন কেউ পিত্তথলির অপারেশন করার কথা আমাদের বলে নাই। এখন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দুর্ব্যবহার করছে।
ক্লিনিকের মার্কেটিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, রাবেয়া বেগমের দুই ধরণের সমস্যাই ছিল। এক্সরে কাগজপত্রে পিত্তথলিতে পাথর দেখা যাচ্ছিল। একারণে আমরা পিত্তথলিতে অপারেশন করেছি।
চিকিৎসক এসএমএ হান্নান বলেন, আসলে ভুল হয়েছে রফিকের। তিনি রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে বুঝিয়ে কথা বলতে পারেননি। তবে মাস দেড়েক পওে জরায়ু অস্ত্রপচার করে দেওয়া হবে। আর্থিক সংকট থাকলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। রোগির স্বজনদের এ বিষয়ে ঝামেলা না করতে বলা হয়েছে।