বাংলাদেশ মসলা জাতীয় ফসলের গবেষনা জোরদারকরন প্রকল্পের আওতায় মসলা ফসলের উন্নতজাত ও প্রযুক্তির উপর কৃষক-কৃষাণীর উদ্বুদ্ধকরনে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুর মসলা গবেষনা উপকেন্দ্র্রে,বগুড়া মসলা গবেষনা কেন্দ্র্রে, মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ী জেলার শতাধিক কৃষক-কৃষানী উদ্বুদ্ধকরণ সভায় যোগদেন।
এসময় তারা ফরিদপুর মসলা গবেষনা উপ কেন্দ্রের উদ্ভাবিত বারি পেঁয়াজ-৪, বারি পেঁয়াজ-৬, বারি রসুন-৩, বারি রসুন-৪, বারি পাতা পেঁয়াজ-১, বারি কালোজিরা-১ ও জিরাসহ বিভিন্ন উন্নত জাত সরেজমিন প্রত্যক্ষ করেন।
এছাড়া কৃষক-কৃষানীরা মসলা গবেষনা উপকেন্দ্রে অবস্থিত ফরিদপুরের পেঁয়াজ সংরক্ষনের উন্নত প্রযুক্তি (অ্যাম্বিয়েন্ট ষ্টোরেজ) পরিদর্শন করেন। পরে বগুড়া, মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ী থেকে আগত কৃষক-কৃষানীরা ফরিদপুর মসলা গবেষনা উপ কেন্দ্রের তত্বাবধানে থাকা কানাইপুরের বসুনরসিংদিয়া ও সদর উপজেলার অম্বিকাপুরে বাস্তবায়িত বীজবপন যন্ত্রসহ বীজ বপন যন্ত্রের সাহায্যে বিভিন্ন মসলা জাতীয় ফসলের বপন প্রযুক্তি সর্ম্পকে জ্ঞান অর্জন করেন।
এর পরে তারা অম্বিকাপুরে দেশসেরা (কৃষিতে পদক প্রাপ্ত) কৃষাণী সাহিদা বেগমের পেঁয়াজ বীজ মাঠ পরিদর্শন করেন এবং সাহিদা বেগমের কাছ থেকে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন সর্ম্পকে নানা তথ্য জেনে নেন। কৃষক-কৃষানী উদ্বুদ্ধকরণ এসব ভ্রমন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মসলা গবেষনা কেন্দ্র বগুড়ার মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হামিম রেজা।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মসলা গবেষনা ফরিদপুর উপ কেন্দ্রের উধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলাউদ্দিন খান, উদ্ধর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাসুদ আলম, উধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশিকুল ইসলাম (নিরু), মসলা গবেষনা বগুড়া অফিসের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন প্রমুখ। প্রধান অতিথি ড. মো. হামিম রেজা তার বক্তব্যে বলেন, কৃষক-কৃষানীরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের জাত ও প্রযুক্তি সরাসরি দেখার কারণে ফসল আবাদে আগ্রহের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া বিভিন্ন প্রযুক্তি ও বীজ বপন প্রত্যক্ষ করার কারণে তারা লাভবান হন। ফলে এ ধরনের উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমনের কারণে উন্নত জাত ও প্রযুক্তি কৃষকের মাঝে সহজেই সম্প্রসারিত হয়ে থাকে।