দিঘলিয়ায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জানা যায় ২৩ শে জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার সময় মোঃ মামুন (২৬), পিতা মোঃ ইউসুপ, সেনহাটি মধ্যম পাড়া (সরোয়ার খান কলেজের সামনে) দিঘলিয়া থানাধীন বার্মাশীল খেয়াঘাটের সমিলের পাশে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ওই মামুনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে যায়।পররর্তীতে সাজেল মাঝি নামের একজন লোক তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা রেফার্ড করে পরবর্তীতে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করলে পথিমধ্যে আনুমানিক রাত সাড়ে ৩টার সময় মামুন মারা যায়। লাশ বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে। ২৪ জানুয়ারী সকালে দিঘলিয়া থানা পুলিশ কর্মকর্তা ইনচার্জ আহসানউল্লাহ চৌধুরী এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন বলে জানা যায়। মৃত মামুন ডিবি পুলিশের সোর্স ও মাদকের সাথে জড়িত ছিল।
মামুন মৃত্যুর পূর্বে তাকে কারা কীভাবে ডেকে নিয়ে কীভাবে মারে তার স্বীকারোক্তিমূলকজবানবন্দি দিয়ে গেছে। বার্মাশেল খেয়াঘাট থেকে একটালোক কনডম রিপনকে দিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে আসে এবং ফরমাইশখানা একটা পরিত্যাক্ত ফাঁকা জায়গায় নিয়ে আসে এবং তার মুখ টেপ দিয়ে আটকিয়ে তাকে দা ছুরি দিয়ে কুপায় ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। তবে হত্যার রহস্য এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায় নি।