ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা কলোনীর চারতলায় একটি ব্যাচেলর বাসা থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত ও বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার চরচারতলা এলাকার আশুগঞ্জ সার কারখানা কলোনীর এফ১/এইচ নাম্বারের বাসা থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে উদ্ধার করা লাশটি এই রুমে থাকা কারখানার প্রশাসন/এস্টেট শাখার এল.এম.এস.এস মো. বোরহান উদ্দিনের। তবে নিহতের শরীর ফুলে যাওয়ার কারণে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের প্রতিবেশী মো. রেজাউল করিম ও পুলিশ জানায়, বুধবার এক বন্ধুর সাথে দুপুরের খাবার খান বোরহান উদ্দিন। বিকালেও তার সাথে ছিলেন। রাতেও বোরহানের বাসায় কথাবার্তা শোনতে পান তিনি। তার রুমের বাহির থেকে তালা লাগোনো ছিল। এরপর থেকে আর কোন কথাবার্তা পাওয়া যায়নি। এরইমধ্যে শুক্রবার বিকালে বোরহানের বাড়ি চাদপুর থেকে তার স্ত্রী বিভিন্ন লোকজনের কাছে কল করতে থাকেন। পরে কলোনীতে থাকা বোরহানের কয়েকজন সহকর্মী তার বাসায় আসেন এবং জানালা দিয়ে ভেতরে উঁকি দিয়ে কেউ আছে কিনা দেখার চেষ্টা করেন। পরে খাটের কিনারায় একজনের মরদেহ পড়ে আছে দেখে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দরজা ভেংগে ভিতরে ঢুকে একটি রক্তাক্ত ও ফুলে যাওয়া মরদেহ দেখতে পান। পরে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। নিহতের শরীর ফুলে যাওয়ায় তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
এদিকে খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রইছ উদ্দিন জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি হত্যাকান্ড বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নিহতের শরীর ফুলে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্তের জন্য প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়েছে। বোরহানের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসার পরে মরদেহটি বোরহানের কিনা তা জানা যাবে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেকে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।