খুলনার পাইকগাছায় ভূমিদস্যু ও কপিলমুনি ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ এর হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা। সোমবার প্রেসক্লাব পাইকগাছা অস্থায়ী কার্যলয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষ্ণপদ অধিকারী জানান, উপজেলার ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডে আইনমান্যকারী অসহায় দরিদ্র প্রজা। গত ২৫নভেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে কপিলমুনি ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ এর উপস্থিতে ভূমিদস্যু অভিজিত সাধু দেশীয় অস্ত্রে সর্জিত হয়ে বহিরাগত ২০/৩০ জন ভাড়াটিয়া লোক নিয়ে আমাদের মাতার প্রায় ৭০বছর পূবৈ রেজিষ্ট্রি কবলা দলিল মূলে ক্রয়কৃত রেকর্ডীয় ভোগদখলী জায়গা জবর দখল চালায়। কাঁটাতারের ঘেরা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে মূল্যবান ফলজ ও বনজ বৃক্ষ। বাধা দিতে গেলে পুলিশ উপস্থিতিতে বাড়ির বৃদ্ধ ও মহিলাদের মারপিট করে ভূমিদস্যু অভিজিতসহ বহিরাগত ভাড়াটিয়া লোকজন। এ সময় ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ আমাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো সহ ক্রস ফায়ারে হুমকি দেয়। আমরা আতঙ্কে দিনযাপন করছি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ইংরেজি ২৫.১২.১৯৫৬সালে অভিজিত সাধু’র পূর্বপুরষ কুঞ্জবিহারী সাধু নিকট থেকে ২৫৬৫নং রেজিষ্ট্রকৃত কবলা দলিল মূলে খরিদ করেন আমাদের মাতা মৃতঃ ননীবালা অধিকারী। ক্রয় পরবর্তী নামপত্তÍন করে সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে আমরা ভোগ দখল করে আসছি। এসএ ১৯৩খতিয়ানে ৪২৫, ৪২৬/৫৯৩ দাগ ও বর্তমান বিআরএস ডিপি নং-৪১৬ এ ১০০২, ১০০৪ দাগে ০.৩৪একর সম্পত্তি রেকর্ডী মালিক আমরা। এমনকি ক্রয় পরবর্তী সরকারী কোষাগারে সন সন করখাজনা প্রদান করে আসছি এবং বাংলা ১৪২৭ সালও পরিশোধ করেছি। এসএ ১৯৩খতিয়ানে ৪২৬/৫৯৩ দাগ ও বিআরএস ডিপি নং ৪১৬ এ ১০০২ দাগ প্রায় ০.২২ একর জায়গা জবর দখল চালাছে ভূমিদস্যুরা। ভূমিদস্যুর হাত থেকে বাঁচতে আর দখল ও ভয়ভৃতির আশঙ্কায় পাইকগাছায় থানায় একটি সাধারন ডায়রি করি, নং-৮৮২, তারিখ ১৯.১১.২০। এ ছাড়া আমাদের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি জবর দখল বাঁচতে আমরা পাইকগাছা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমআর-২৪৫/১৯ এবং একই আদালতে এমআর ৩৪/২০ মামলা করি, যা চলমান রয়েছে। এমনকি স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান এর নিটক লিখিত অভিযোগও করেছি। ভূমিদস্যু অভিজিত সাধু ও ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ’র হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এই অসহায় দরিদ্র পরিবারটি। এ বিষয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সঞ্জয় দাশ জানান, আদালতের নোটিশ জারি করার জন্য ফাঁড়ি পুলিশ উভয় পক্ষের কাছে যায়। এ সময় তারা নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। এ সংবাদ পেয়ে আমি ফাঁড়ি থেকে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের মধ্যে ধাক্কধাক্কি নিরশন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী পরিবারে অন্যান্য সদস্যরা।