পটুয়াখালীর গলাচিপায় ধান কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫/১৬জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চর ওহাব গ্রামে। গুরুতর আহত ৪ জনকে গলচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চর ওহাব গ্রামে ধান কাটতে যায় ভোলা জেলার চর ফ্যাশন উপজেলার মুজিব নগর ইউনিয়নের আলমগীর ডাক্তার ও রব মাঝির নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জন লাঠিয়াল। এ সময় গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নের কৃষক কাশেম মৃধা নিজের ফলানো ফসল রক্ষায় বাধাঁ দিলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫/১৬ জন অহত হয়েছে। গলাচিপার কাশেম মৃধা (৪৫), সবুজ মৃধা (২১), বাবুল হাওলাদার (৪২), সোলেমান মৃধা (২৮) সহ ৯ জন এবং চর ফ্যাশনের ৬ জন আহত হয়।
চর ওহাবের কৃষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, পূর্ব চরবিশ্বাস মৌজার চর ওহাবে প্রায় পৌনে পাঁচশ একর জমি আমাদের বিভিন্ন কৃষকের রেকর্ডীয় যা গলাচিপা থানার সীমানার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু মুজিবনগর ইউনিয়নের সংঘবদ্ধ একটি ভূমিদস্যু চক্র গায়ের জোরে প্রতিবছর জমি ও ফসল লুট করে নিয়ে যায়। তিন মাস আগে এ চরে টেপু ধান রোপন করা হয়। ধানের রঙ লাল হওয়ার আগেই বুধবার সকাল ৮টার দিকে মুজিবনগর ইউনিয়নে অবস্থান করা শতাধিক লাঠিয়ালরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধান কাটা শুরু করে। এতে বাধা দিলে সাধারণ কৃষককে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
চর বিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সি জানান, “প্রতি বছরই ধানের মৌসুমে ভোলার লাঠিয়ালরা আমাদের এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসল লুট করে নিয়ে যায়।এবারও কৃষকদের উপর হামলা চালিয়েছে।”
গলাচিপা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, চর বিশ্বাসে ধান কাটা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন। এ ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।