রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বলেছেন, দেশের প্রচলিত আইন শতভাগ অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করলে পুলিশ বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা ও ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে। কোনো পুলিশ সদস্যের আচরণগত কারণে যেন আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, যদি কোনো পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কোনো অপরাধীর সম্পর্ক থেকে থাকে তবে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধীদের সম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহে কোনো কর্মকর্তা যদি ব্যর্থ হয় তবে তাকে তদন্তকার্য থেকে বিরত রাখা হবে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, মাদক নির্মূল করতে হলে মাদকসেবীদের তালিকা করতে হবে। মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য তাদের সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরও মাদকসেবীরা সংশোধন না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মহিদুল ইসলাম, আবু মারুফ হোসেন,
কোতয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার আলতাফ হোসেনসহ মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা।
সভা শেষে শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে হারাগাছ থানার মনোজ কুমার সরকার এবং মোঃ মামুন, শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট হিসেবে ট্রাফিক উত্তরের বায়েজিদ বোস্তামি ও শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী কর্মকর্তা হিসেবে মোঃ আল আমিনকে পুরস্কৃত করা হয়।