 
		
	এবার আপন খালু কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হলো এক কিশোরী। টানা ১৩দিনে আটককে রেখে ধর্ষণের ওই ভন্ড খালু। পরে কিশোরীর আত্মীয়স্বজন পাশ্ববর্তী উপজেলার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত ধর্ষক কামরুল ইসলাম (৪০)কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রস্তুমপুর গ্রামে ঘটে। 
জানা গেছে, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রস্তুমপুর গ্রামের কিশোরী এবং গৃদকালিন্দিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কে তার আপন খালু কামরুল ইসলাম গত দুই বছর পূর্বে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই সময়ে সে কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে ওই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন সে ফাতেমাকে ধর্ষণ করে আসছে। সর্বশেষ সে গত ২৫ সেপ্টেম্বর কিশোরীকে কৌশলে অপরহরণ করে পাশ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় একটি বাসায় আটকে রাখে। সেখানে টানা ১৩দিন কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে। 
এদিকে মেয়ের খোঁজ করে একপর্যায়ে তার পরিবারের লোকজন গত বুধবার রাতে রায়পুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকা থেকে কামরুল ইসলামকে আটক করে এবং সেখন থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে। পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। 
পরে ফাতেমার মা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও পণ্যগ্রাফী আইনে রাতেই ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। 
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, রাতেই মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভিকটিম কিশোরীটিকে ডাক্তারি পরীক্ষাসহ অন্যান্য আইনি বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চাঁদপুর প্রেরণ করা হয়েছে।