করোনার কারণে বাল্য বিবাহ বৃদ্দি পাচ্ছে। মানুষের কর্মহীনতায় এবং আর্থিক সংকটে নারী ও শিশু নির্যাতন বাড়ছে। তাই গ্রাম পর্যায়ে যথাযথ আইন মানা এবং দরিদ্র ও কর্মহীন ঝুঁকিপূর্ন শিশু-কিশোর-নারীদের কারিগরি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ নিরোধ সম্ভব বলে মনে করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আসিব আহসান। সে জন্য কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়াতে ও বাল্য বিবাহ রোধে সকলের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ে বাল্য বিবাহ নিরোধ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তোরাব মোঃ আরিফ হোসেন। সভায় বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে জেলা,উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটির কার্যক্রম মনিটরিং,বস্তি, নদী চরাঞ্চলে ও গ্রামিন সুবিধা বঞ্চিত ঝুঁকিপূর্ন দরিদ্র কিশোরীদের সচেতনতা বাড়ানো,শিক্ষার সুযোগ বৃদ্দি,বিশেষত কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাস এবং নিরাপত্তা বাড়লে বাল্য বিবাহ রোধ হ্রাস পাবে। বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হিরম্ব কুমার রায়,পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ডা ঃ সাইদুর রহমান,মহিলা ও শিশু অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাওসার পারভীন,কুমিল্লা এইডের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেপালী,ট্রেনিং কোঅর্ডিনেটর নুর হোসেন,ডিস্টিক ইনচার্জ নাজমা বেগম,স্বর্ন নারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুশ্রী সাহা,সাংবাদিক আফতাব হোসেন, আরডিআরএসএর ব্যবস্থাপক শমসেয়ারা বিলকিচ ও কুমিল্লা এইডের উপজেলা ফেসিলেটর সুরত জাহান হামাদী।