কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া ইবি থানা এলাকায় শুরু হয়ে গেছে গরু চুরির হিড়িক। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে চুরি হয়েছে ১০ টি গরু। গেল ভোর রাতে ইবি থানার উজান গ্রাম দক্ষিণ পাড়ার লুৎফর সর্দারের (৪০) এর ৩ টি গরু চুরি হয়ে গেছে। প্রতিদিনের মত রাতে তিনি তার গরুকে খাবার দিয়ে ঘুমাতে যান, পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে গরু খুলতে গিয়ে দেখেন তার গোয়ালে গরু গুলা নাই। এদিক ওদিক খোঁজ করে গরুর পায়ের চিহ্ন দেখে বোঝেন বাড়ির পিছন দিয়ে জিকে ক্যানেল পাড় করে মাঠ পেরিয়ে মহাসড়কে নিয়ে গেছেন চোরেরা। এ ছাড়া একই থানার মধুপুর আখসেন্টার ও শান্তিডাঙ্গা পূর্ব আব্দালপুর ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে মোট ৭ টি গরু চুরি হয়েছে। এর আনুমানিক মূল্য ৫-৭লক্ষ টাকা প্রায়।
লক্ষ্মীপুর ও বৃত্তি পাড়া নাইটগার্ডের তথ্য অনুযায়ী একটি তিন চাকার কোরিমনে ৩টি গরু ও অন্য একটি গাড়িতে ৪টি গরু বহনরত অবস্থায় বিত্তিপাড়া দিকে গিয়েছে বলে জানা যায়। হতে পারে এই গরু গুলোই চুরি যাওয়া গরু।কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে, কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের রাতভর ডিউটি, ইবি থানা পুলিশের রাতভর ডিউটি সহ প্রতিটা স্ট্যান্ডে নাইট গার্ডের পাহারা হয়ে থাকে প্রতি রাতে। এত সর্তকতা স্বত্তেও চুরি হচ্ছে গরিবের স্বপ্ন, ক্ষোভ এলাকাবাসীর। তবুও ভুক্তভোগীদের দাবি তাদের অসতর্কতা ও প্রশাসনের উদাসীনতার জন্যই এমন ঘটনা ঘটছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি অনুযায়ী প্রতিটি ঘটনার চুরি যাওয়া গরু মহাসড়ক দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশ এর সাথে কথা বলে জানাযায় এ বিষয় সংশ্লিষ্ট থানা প্রশাসনের দায়িত্ব। তবে কোরবানির আগে পরে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।
ইবি থানার ওসি জাহাঙ্গীর আরিফ তিনি জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ কেউ দেয়নি, কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সাথে প্রাথমিক বৈঠকে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কঠোর তৎপরতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।