বিজ্ঞ আদালতে জমির মালিকানার স্বত্ত্ব নিয়ে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় মোশারফ হোসেন নামের এক ব্যক্তির বসতঘর গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে শ্যামনগর উপজেলার ভবানীপুর মৌজায়। বসতঘর হারিয়ে অসহায় পরিবারটি পাশের একটি চিংড়ি ঘেরের বাসায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করার দাবি করেছে। নুরনগর ইউনিয়নের তহশীলদার স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদেরই কিছু লোকজনের সহায়তায় এমন কান্ড ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ।
বসতঘর থকে উচ্ছেদ হওয়া মোশারফ হোসেন জানায় দীর্ঘদিন ধরে তারা সেখানে বসবাস করছিলেন। চারপাশে লবন পান বিধায় তারা খাবার ও ব্যবহার উপযোগী পানির জন্য একটি গভীর নলখূপ স্থাপন করে পানির চাহিদা মেটাচ্ছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালীরা বসতঘর গুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি তার নলকূপের ক্ষতিসাধন করেছে।
ঘটনার শিকার মোশারফ হোসেনের পিতা মোঃ আবুল কাশেম জানান ওই মৌজার ৭২/৭৩ খতিয়ানের এস এ রেকর্ডীয় মালিক বানু আলী গাজীর ওয়ারেশগনের নিকট থেকে কোবলাসুত্রে ক্রয়ের পর থেকে সাবেক ১৮০ দাগ যার হাল দাগ নং ৩২৮ এর ঐ জমি তারা ভোগ দখলে রয়েছে। সম্প্রতি ভ্রমাত্মকভাবে ওই সম্পত্তির একটা অংশ রাস্তা নির্মাণের জন্য সরকারের অনুকুলে এক নং খতিয়ানে রেকর্ডভুক্ত হয়।
তিনি আরও জানান ওই জমির উপর দিয়ে আগেও যেমন কোন রাস্তা ছিল না, তেমনী বর্তমানেও কোন রাস্তার অস্থিত্ত্ব নেই। তথাপী স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে ঐ জমিকে রাস্তা শ্রেনী উল্লেখ করে তার ছেলের বসতঘর রাস্তার উপর নির্মিত- এমন অভিযোগ তুলে তা অন্যায়ভাবে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
মোঃ আবুল কাশেম জানান কোবলাসুত্রে ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় তার জমির কিছু অংশ ভ্রমাত্মকভাবে সরকারের এক নং খতিয়ানে রেকর্ড হওয়ায় ইতোমধ্যে তিনি ভ্রম সংশোধনের জন্য বিজ্ঞ আদালতের দারস্থ হয়েছেন। যার মামলা নং ৭৫/৯৮। তিনি অভিযোগ করেন আদালতের আদেশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা না করে উদ্দেশ্যমুলকভাবে তার ছেলেসহ পরিবারটিকে রাস্তায় বসিয়ে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় আবদুল গনি ওরফে গনি হাজী, শাহাজান, আবুল হোসেন ও তপন এর প্রচোরনায় নুরনগরের তহশীলদার আবদুর রাজ্জাক এমন কান্ড ঘটিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এবিষয়ে তহশীলদার আব্দর রাজ্জাকের মুটোফোনে যোগাযোগ রকা হলে এমন বিষয়ে তিনি কোন মনআতব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।