গাজীপুরের কালীগঞ্জে করোনা সন্দেহে ৩২ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষার পর শুক্রবার দুপুরে ১০ জনের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। আক্রান্তদের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংকের ১ জন, নাভানা ফ্যাক্টরীর ৪ জন রয়েছেন। এ নিয়ে কালীগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯০ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান আকন্দ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান আকন্দ জানান, করোনা সন্দেহে ৩২ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানোর পর শুক্রবার দুপুরে ১০ জনের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। নতুন আক্রান্ত ব্যাক্তিগণ কালীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ৭ জন, নাগরী ইউনিয়নে ২ জন ও বক্তারপুর ইউনিয়নে ১ জন। এ নিয়ে কালীগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯০ জন। এদের মধ্যে সর্বমোট ১১৩ জন হোম আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে থেকে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে করোনাকে পরাজিত করে সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়ে বাড়ীতে ফিরেছেন। নতুন আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা সকলের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ পাঠানো হবে।
উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিক জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কালীগঞ্জে নতুন আরও ১০ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৫০৩ জন নারী পুরুষের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআর এ পরীক্ষার পর উপজেলায় সর্বমোট ১৯০ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় এক মাসের শিশুসহ সর্বমোট ৩ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সর্বমোট ১১৩ জন রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ীতে ফিরেছেন। সুস্থ্যদের বাড়ীর লগডাউন খুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিবারের বাকী সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইন করে তাদের বাড়িতে সতর্কতামূলক লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।