আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ২১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭তম। সামনে আরো কঠিন সময় আসছে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এই চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করতে হবে, আমাদের সাহসিকতার সাথে। তাই আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের মানসিক প্রস্তুতি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি এই দুর্যোগ মোকাবেলায়।
বৃহস্পতিবার (৭ মে) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, করোনা সংকট মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সমূহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, দলীয় সংসদ সদস্যসহ আমাদের জনপ্রতিনিধিগণ, আওয়ামী লীগের পক্ষে সারাদেশে ৯০ লাখ ২৬ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা এবং ৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে। এখনো সাহায্য দান দান, ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ আমাদের সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি পালন করেছে অত্যন্ত সার্থকভাবে। ধান কাটা এরইমধ্যে সারা দেশে ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার, ব্লিচিং পাউডার স্প্রে মেশিনসহ সুরক্ষা সামগ্রীও বিতরণ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্রী অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ভা¤্রমাণ মেডিক্যাল টিম ও টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
৭ মে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ ৭ মে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। ২০০৮ সালের এই দিনে চিকিৎসা শেষ যুক্তরাষ্ট্র থেকে শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল, তিনি যেন দেশে ফিরে না আসেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা অসীম সাহসের সাথে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ফিরে আসেন, দেশের মাটিতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।