পাবনায় চাটমোহরে সামান্য বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের দুই দফা সংঘর্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম পরশসহ উভয় পক্ষের ৫জন আহত হয়েছেন। পরশ চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। আহত অন্যরা হলেন একই গ্রামের আঃ ওহাবের ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য বকুল হোসেন,আয়েজ উদ্দিনের ছেলে ইবাদত আলী,ইছাহক আলী ও ইছাহক আলীর ছেলে সাগর। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাতে হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল ও হরিপুর বাজার ব্রিজের কাছে। আহত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় পুলিশ ২ গ্রাম পুলিশসহ ৪ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশ বরুলিয়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মিন্টু হোসেন, হাছেন আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু,আলী আজগরের ছেলে কদর ও আলহাজ উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্র ও স্থানীয়ভাবে জানা যায় সোমবার রাতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে হরিপুর ইউপি সদস্য চড়ইকোল গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আলীর সাথে ছাত্রলীগ নেতা পরশের ভাই কালামের বিরোধ হয়। এনিয়ে বাক বিতন্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় ২ জন আহত হন। ঘটনার পর পরশ ও বকুল হোসেনসহ অন্যরা চাটমোহরে আসার জন্য বের হয়। বিষয়টি ইউপি সদস্য ইউনুস আলী হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মকবুল হোসেনকে জানান। চেয়ারম্যান বিষয়টি পুলিশে জানানোর কথা বলেন। কিন্তু পথিমধ্যে হরিপুর বাজার ব্রিজের নিকট পরশসহ অন্যরা পৌঁছালে গ্রাম পুলিশসহ কতিপয় ব্যক্তি বাধা দেয়। বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে পরশসহ অন্যান্যের মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আটক করা হয় ২ গ্রাম পুলিশসহ ৪ জনকে।
চাটমোহর থানার ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন জানান,দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে। সমঝোতার কথা বলেছে উভয় পক্ষ। না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।