শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে জরুরি সেবা ছাড়া সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কিন্তু উপজেলার চেঙ্গুঁরিয়া এলাকার ‘শের জাফর হায়দার জিগজ্যাগ অটো ব্রিকস ম্যানুফেকচারার্স’ নামের ইটভাটাটি চালু রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, ওই ভাটাটিতে বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকরা কাজ করায় স্থানীয়দের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (১২ এপ্রিল) বিকালে সরেজমিন দেখা যায়, ওই ইটভাটায় কোনো ধরনের করোনা সতর্কতা ছাড়াই অর্ধশতাধিক শ্রমিক নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কয়েকজন শ্রমিক কাঁচা মাটির তৈরী ইট নিয়ে ভাটার চুলার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কয়েকজন ইটের স্তুপ থেকে ভাঙা ইট আলাদা করছেন। আবার কেউ কেউ ট্রলিতে ইট বোঝাই করে সাপ্লাইয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা কার্যালয়ের সামনে কমপক্ষে ১৫ জন মানুষ জটলা বেঁধে বসে হাসি-ঠাট্রায় মেতে আছে।
ইটভাটার শ্রমিক আজমত, শাকিল জানান, ইটভাটায় কাজ করে সংসার চালান তারা। তাই কাজ পেটের তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ইটভাটায় কাজ করছেন তারা।
চেঙ্গুঁরিয়া এলাকার বাসিন্দারা জানায়, প্রতিদিন শ্রমিক, ইট ক্রেতাসহ প্রায় শতাধিক মানুষ সেখানে চলাচল করে। এ ক্ষেত্রে কোন ধরনের বিধি-নিষেধ মানা হয় না। এখানে বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকরা কাজ করায় ও তাদের অবাধ চলাচল এবং করোনা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে।
ইটাভাটার স্বত্তাধিকারী মো. ইলিয়াস উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন করে আর ইট উৎপাদন করব না, অল্প কিছু কাঁচা ইট আছে আমার। এ ইটগুলো স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে পুড়াচ্ছি। বর্তমানে এখানে বাইরের কোন শ্রমিক নেই। যারা কাজ করছেন তারা সারাদিন আমার ভাটায় থাকেন, ভাটার বাইরে ঘুরাফেরা করে না। আমার ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতেই ভাঁটা চালু রেখেছি। যে ইটগুলো আছে তা পুড়াতে আর দুই-তিন লাগবে, এরপর ভাঁটা বন্ধ করে দিব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’