শেরপুরে প্রাণঘাাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা দিবে ৯২ জন চিকিৎসক ও ১৩৯ জন সেবিকা । এক্ষেত্রে তাদের ব্যাক্তিগত সুরক্ষার জন্য ২ হাজার ২২৪ টি সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সংগ্রহ করা হয়েছে সরবরাহ করা হয়েছে ৩১৬টি পিপিই । বুধবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত শেরপুরে সন্দেহভাজন কোভিড-১৯ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭২ জনের । এরমধ্যে পরীক্ষার পর পজিটিভ পাওয়া গেছে দুইজনের।
সরকারী ৫টি চিকিৎসা কেন্দ্রের ২৮১ টি বেডের মধ্যে করোনা মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৫০টি বেড। জুরুরী বিভাগে আইসোলশন ব্যবস্থার পাশাপাশি করোনা রোগী স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বেসরকারী তিনটি ও সরকারী একটি এ্যাম্বুলেন্স । প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইন্টাইনের জন্য শেরপুর টিটিসি ভবনের ১০০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসন।
এদিকে মার্চের ১ তারিখ হতে শেরপুরে ৫১১জন বিদেশ প্রত্যাগত থাকলেও বিদেশসহ দেশের নানাস্থান থেকে আসা ১৪৯জনকে হোমকোয়ারেন্টাইন রাখা হয়েছে তারমধ্যে ১৪৭জনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। আর দুইজন রয়েছে আইসোলশনে । যারা আইসোলশনে রয়েছেন তাদের শারিরিক অবস্থা ভালো রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা অথবা শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে চিকিৎসকদের কাছ থেকে মোবাইলে পরামর্শ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে । করোনা রোগের নমুনা সংগ্রহ করতে মেডিকেল টিম কে সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়ে এবং রোগীর বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে প্রত্যয় ব্যাক্ত করে সরকারী নির্দেশ মোতাবেক বাড়িতে অবস্থান করার অনুরোধ করা হয়েছে।
সেসাথে চিকিৎস বিষয়ক সহায়তার জন্য শেরপুর সদর উপজেলায় ডা. মোবারক হোসেন (০১৯৭৮-১৫১১৬১), ডা. আকরাম হোসেন (০১৭১৫-২৪৭৯২১) ও জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. খাইরুল কবির (০১৭১১-০৪৪৫৮৬), শ্রীবরদী উপজেলায় ডা. আনোয়ার হোসেন (০১৭৯৭-৩৬৫৩৪৪),নকলা উপজেলায় ডা. মজিবর রহমান (০১৭১২-৬৩৫৯৯৮),ঝিনাইগাতী উপজেলায় ডা. জসিম উদ্দিন (০১৭১৫-৫৩৬৯৩০) ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় ডা. রেহমা সারওয়াত সালামের (০১৭১৪-০৯৩২৫০) সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।