করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রংপুর নগরীতে সান্ধ্য আইন জারি করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এই আইনে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ছাÑ া নিত্য প্রযয়োজনীয় সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এছাÑাও মেট্রোপলিটন এলাকায় জরুরি সেবা, চিকিৎসা, ভোগ্য ও রপ্তানি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন ছাÑ া সব ধরনের ব্যক্তি ও যানবাহন চলাচলের উপর নিয়ন্ত্রর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
বুধবার সকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলিম মাহমুদ জানান, মানুষকে ঘরবন্দি করতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায়রাখতে নানা ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবয়ন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের উপস্থিতি পেলে সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। আর চোখের আÑ াল হলেই বেয়ে যায়মানুষের চলাচল।
তিনি বলেন, রংপুর নগরীর সব শ্রেণীপেশার মানুষকে ঘরে থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ করে মাইকিং করা হচ্ছে প্রতি মূহুর্তে। মানুষের প্রয়োজনীয়জিনিসপত্র কেনাকাটায়নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ দোকান স্থাপন করা হয়েছে। এছাÑা মেট্রোপলিটন পুলিশের হটলাইনে ফোন করলে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য পৌঁছে যাবে ক্রেতার বাÑিতে। ওষুধ থেকে শুরু করে সবধরনের ভোগ্যপণ্য সরবরাহ করবে এই ভ্রাম্যমান দোকান। এরপরেও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই এই আইন জারি করা হয়েছে। কেউ এ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই নগীতে প্রবেশের সব পথ বন্ধ করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
এদিকে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায়রাখতে রংপুর নগরীসহ জেলার ৮ উপজেলায় পৃথক ভাবে কাজ করছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানিযয়েছেন, স্বল্পমূল্যে চাল, আটা ও টিসিবির পণ্য বিক্রিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসাথে কাজ করছে। জনসমাগম রোধে ইতোমধ্যে বিকেল ৫ টার পর জেলার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরিপত্র জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। জেলার ৮ উপজেলা, ৩ পৌরসভা ও একটি সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৬শ মেট্রিক টন চাল ও ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকারের ত্রাণ ও পুনবার্সন মন্ত্রণালয়এছাড়াও ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন এলাকায়প্রায়২০ লাখ টাকা মূল্যের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার জানিযয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কিছুটা হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু উপজেলা শহর ও গ্রামের মানুষদের মাঝে নেই করোনা ভীতি। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলার প্রবেশ পথগুলো চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে প্রয়োজন ছাÑ া অহেতুক সÑকে চলাচল কারীদেরকে ঘরমুখো করছে পুলিশ। তিনিও দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষদের নানাভাবে খাদ্য সহযোগিতা করছেন।
এদিকে রংপুর নগরীর কটকি পাÑা, ইঞ্জিনিয়ার পাÑা, জুম্মাপাÑা, বাবুপাÑ াসহ বেশ কিছু পাÑা-মহল্লার বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে বেরিকেট তৈরি করে সÑকর প্রবেশ পথগুলো বন্ধ করেছেন।