করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময়ে কাপাসিয়ার ৫২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা সরকার প্রদত্ত কোনো সুরক্ষা ছাড়াই ঝূঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন। গ্রাম এলাকায় ক্লিনিকের অবস্থান হওয়ায় অসচেতন মানুষজন প্রতিদিনই ভিড় করছেন ক্লিনিকে। তাছাড়া সরকারিভাবে ক্লিনিকের কর্মীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সুরক্ষা দ্রব্যাদি এখনো পাননি। এ নিয়ে কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়নের ৫২টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। ক্লিনিকে সর্দি, কাশি, জ্বরসহ ছোটখাটো রোগ নিয়ে প্রতিদিনই ভিড় করেন গ্রামের রোগিরা। ক্লিনিকে বর্তমানে সরকার ৩২ প্রজাতির ওষুধ বিনামূল্যে দিয়ে থাকে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে রোগী কমলেও কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা-যাওয়ার সহজলভ্যতা ও গ্রাম এলাকায় অবস্থানের কারণে রোগীর সংখ্যা তেমন কমেনি। এখনো প্রতিদিন গ্রামীণ রোগীরা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসছেন দলে দলে। তারা মাস্ক বা গ্লাভস ব্যবহার না করে হুট করেই ক্লিনিকে ঢুকে স্বাস্থ্যকর্মীদের টেবিলে চলে আসেন। ক্লিনিকের কর্মীরাও তাদেরকে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা জানান, গ্রাম এলাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা এসেছেন। তারা তেমনভাবে হোমকোয়ারেন্টিন মানছেন না। তাদের স্বজনরাই ক্লিনিক নিজ গ্রাম বা পাড়ায় অবস্থানের কারণে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এতে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া এখন পর্যন্ত ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিরাপত্তাসামগ্রী কর্মীরা অনেকে নিজ উদ্যোগেই হ্যান্ড স্যানিটাটাইজার ব্যবহার করে সেবা দিচ্ছেন।
চান্দুন ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার মিজান খান শিমুল বলেন, এখনো প্রতিদিন ২০-৩০ জন রোগী আসেন। তাছাড়া প্রতিটি গ্রামেই প্রবাসীরা দেশে এসেছেন। তাদের অসচেতন স্বজনরাই কোনো প্রতিরক্ষা ছাড়াই এসেই হুট করে কক্ষে ডুকে যাচ্ছে। ভিড় না করার অনুরোধ জানালেও তারা কেউ মানেন না। গ্রামের অসচেতন মানুষদের নিয়ে আমাদের কাজ। তাই আমাদের সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া জরুরি।
কাপাসিয়ার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুস সালাম সরকার বলেন, আমরা ইতিমধ্যে উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সের কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইভমেন্ট দিয়েছি। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের মাস্ক এবং হ্যান্ডগ্লাবস দিয়েছি খুব দ্রুত পিপিই এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করবো।