দুপুরে খানজাহান আলী দিঘী‘র ঘাটে সিড়িতে গোসল করছিলাম। হাত-পা ও শরীরে পানি দিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি কুমির এসে আমার ডান পা কামড়ে ধরে গভীর পানিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। আমি জীবন বাঁচাতে কুমিরের চোখ, নাখসহ মাথায় এলোপাতাড়ি ঘুষি মারতে শুরু করি। একপর্যায়ে কুমিরটি আমার পা ছেড়ে দেয়। আমি দৌড়ে উপরে উঠে আসি।
সোমবার বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কথাগুলো বলছিলেন কুমিরের কামরে আহত ১৫ বছর বয়সী কিশোর শেখ রাকিব।
আহত রাকিব বাগেরহাটের খানজাহান আলী মাজার সংলগ্ন রনবিজয়পুর গ্রামের জাকির ছেলে। সে কে আলী দরগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনির শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুরে মাজারের ঘাটে গোসল করতে নামলে একটি কুমিরের অতর্কিত আক্রমনে আহত হয় রাকিব। পরে তার বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে বাগেরেহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
রাকিবের বোন জাকিয়া বলেন, দুপুরে প্রতিদিনের মত বন্ধুদের সাথে মাজারে গোসল করতে যায় রাকিব। সেখানে কুমিরে আক্রমণ করে ওকে। আল্লাহ-ই আমার ভাইকে বাঁচিয়েছে।
রাকিবের বন্ধু তাহছিন ফকির বলেন, দুপুরে গোসল করতে নামলে রাকিবকে কুমিরটি আক্রমণ করে। অনেক ধ্বস্তাধস্তির পরে সে উপরে উঠে আসে। এ সময় অনেক লোক জড় হয়। পরে আমরা রাকিবকে বােেগরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তাহছিন আরও বলেন, এখন কুমিরের ডিম পাড়ার সময়। আর ডিম পাড়ার সময় কুমির একটু হিংস্র হয়ে যায়। তাই হয়তো কুমিরটি রাকিবকে আক্রমণ করেছে।
বাগেরেহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগেরে চিকিৎসক ডা. ফারহান আতিক বলেন, দুপুরে কুমিরের আক্রমনে আহত এক কিশোর হাসপাতালে আসেন। কুমিরের কামড়ের তার পাশের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়ে গেছে। আমরা তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিয়েছি। কিশোর রাকিব এখন সংঙ্কামুক্ত আছেন।