শেরপুরের নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের রানীশিমুল এলাকার দরপট বাজার ও বানেশ্বরদী ইউনিয়নের মোজার বাজারে স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা এবং নকলা ইউনিয়নের উত্তর নকলা এলাকায় অবৈধভাবে দখল করা আবাদি জমি দখল মুক্ত করতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাহমিনা তারিনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রোববার (৮ মার্চ) সকাল থেকে উচ্ছেদ শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে রানীশিমুল এলাকার দরপট বাজার, বানেশ্বরদী ইউনিয়নের মোজার বাজার ও নকলা ইউনিয়নের উত্তর নকলায় দখল মুক্ত করতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় দুই বাজারের সরকারি ভুমির উপরে স্থাপিত সকল অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হয় এবং উত্তর নকলায় আবাদি জমিতে অবৈধ দখলদারদের জমির আইল ভেঙ্গে দিয়ে আবাদি জমি দখল মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এ সময় উপজেলা ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মামুন হোসেন, নকলা সদর ভুমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. হযরত আলী, গনপদ্দী ভুমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা মো. মোকসেদ আলী, সায়রাত সহকারী মোকলেছুর রহমান, তজি সহকারী মোর্শেদুল আলম, সার্টিফিকেট প্রেসকারক রাসেল মিয়াসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও বিভিন্ন গনমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে দীর্ঘদিন পর হলেও অবৈধ দখল মুক্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাহমিনা তারিন জানান, রোববার তিন ইউনিয়নের দুটি বাজার ও একটি আবাদি জমির অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়। দরপট বাজারের সরকারি ২৮ শতাংশ জমির মধ্যে ৪ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত অন্তত ১০ টি অবৈধ দোকান, মোজার বাজারের ৫০ শতাংশ জমির মধ্যে ৮ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত অন্তত ২০ টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। তাছাড়া উত্তর নকলায় আদর্শ গ্রামের জন্য বরাদ্দকৃত জমির মধ্যে ৯২ শতাংশ জমিতে অবৈধভাবে দখল করে রাখা মালিকানা উচ্ছেদ করার পর অবৈধ দখল মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, চলতি মার্চ মাসের মধ্যে নকলা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ দখল মুক্ত করতে অন্তত ২০ টি অভিযান পরিচালনা করা হবে।