রাজশাহীর বাগমারায় তাহেরপুর পৌরসভা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের তাহেরপুর ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছে। ওই সময় হামলাকারীরা বেসরকারী টিভি চ্যালেন সময়ের চিত্র সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পাপ্পুকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিত্র সাংবাদিক পাপ্পুকে উদ্ধার করেছে বলে প্রত্যক্ষ দর্শিরা জানিয়েছেন। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদসসহ জেলা আ.লীগের সভাপতি মেরাজ মোল্লাহ ও সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা। এমন ঘটনার জন্য শক্ত অবস্থান নিবেন বলে জানিয়েছেন তাহেরপুর পৌর মেয়র ও পৌর আ.লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। তিনি এমন ঘটনার জন্য সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, শনিবার তাহেরপুর পৌরসভা আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বেলা ১২ টার দিকে তাহেরপুর পৌরসভা সাধারন সম্পাদক প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক ওরফে আর্ট বাবু তার লোকজন নিয়ে তাহেরপুর ডিগ্রী কলেজে স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলা আ.লীগের নেতাদের সাথে দেখা করতে আসেন। এ সময় তাহেরপুর পৌর সভার মেয়র ও পৌর আ.লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের সমর্থকেরা আবদুর রাজ্জাক ওরফে আর্ট বাবুর সমর্থকদের উপর হামলায় চালায়। লাঠি পেটা করে তাদেরকে সেখান থেকে বের করার চেষ্টা করে। ওই সময় সময় টিভির ক্যামারা ম্যান হাবিবুর রহমান পাপ্পু ছবি তুলতে গেলে হামলাকারীরা তার উপর হামলা চালিয়ে ক্যামারা ভাংচুর করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকেরা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যায়। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ঘটনাস্থলে আসা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, রাজশাহী জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মেরাজ মোল্লাহ, সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আবদুল ওয়াদুদ দারার উপস্থিতিতে পুলিশের সামনেই এমন ন্যাক্কাজনক ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ইমান আলী (২০) ও মিঠু পিয়াদাকে বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েয়ে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর ইউনিয়ন আ.লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ (৩৮), মাধনগর ইউপি সদস্য ও আ.লীগ নেতা ডলার মাহমুদ(৪০), পবা উপজেলার আ.লীগ নেতা কোরবান আলী। খবর পেয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেব ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও আ.লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ক্ষোভ প্রকাশ করে সংবাদ কর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এছাড়াও তিনি ঘটনার সাথে জড়িত হামলা কারীদে চিিহ্নত করে আইনের আওতায় আনবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে বাগমারা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, হামলার ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।