বাগেরহাটে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ৫ এসএসসি (দাখিল) পরীক্ষার্থী বখাটেদের হামলার শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন মেয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে। শুধু হামলা নয় মেয়ে শিক্ষার্থীদের যৌন হেনস্থাও করেছে বখাটেরা। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার রনবিজয়পুর সরকারি প্রাথমিকস বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ওই শিক্ষার্থীরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎস্যা নিয়েছেন।
হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন, সদর উপজেলার সাবেক ডাঙ্গা এলাকার হাবেলি সালেহিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী মূসা হাসান, সাইফুল এবং তিনজন মেয়ে শিক্ষার্থী। এদের সবার বাড়ি সদর উপজেলার বাগমারা ও সাবেকডাঙ্গা গ্রামে। তারা বাগেরহাট শহরের কামিল মাদরাসা থেকে ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল।
হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষার শুরু থেকে অভিভাবকদের চুক্তি করা অটোতে আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে আসি এবং পরীক্ষা শেষে ওই অটোতেই বাড়িতে যাই। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় রন বিজয়পুর মোড়ে আমাদের সহপাঠি সাইফুল নেমে যায়। তখন কিছু বখাটে বলে তুই নামিস কেন, একটি মেয়েকে নামায়ে দিতে পারিসতো আমাদের কাছে। তারপর আমরা চলে যাই। শনিবার পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রন বিজয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে দড়িতালুক গ্রামের আরিফসহ ৮-১০ বখাটে আমাদের পথ আটকায়। আমাদের কিল-ঘুষি ও লাঠিপেটা করে। অনেক আজে বাজে গালিগালাজও করে তারা। স্থানীয় অনেক লোক আশপাশে দাড়ানো থাকলেও কেউ ঠেকাতে আসেনি আমাদের। ভয়ে আমরা অনেক চিৎকার চেঁচামেচি করছিলাম। একপর্যায়ে বখাটেরা চলে যায়। আমরা বখাটেদের কঠোর শাস্তি চাই।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের চিকিৎসক এরশাদ বলেন, তিনজন পরীক্ষার্থী আমার এখানে চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তবে আঘাত গুরুত্বর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে বাড়ি যেতে বলা হয়েছে।
মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কিমিটর সভাপতি রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, রন বিজয়পুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে যারা আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনাটি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে জানিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহতাব উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব। এরপরেও আমরা বিষয়টি খোজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।