ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের লোহারটেক বাছার ডাঙ্গী গ্রামের এক কিশোরী (১৩) ধর্ষনের শিকার হওয়ার পর মান-সম্মানের ভয়ে চুপ থাকার জ্বের ধরে ৫ মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই গ্রামে প্রতিবেশী চায়ের দোকানদার সুলতান ফকির (৬০) আরেক ব্যাবসায়ী চাঁনমিয়া মন্ডল (৩০) মিলে উক্ত কিশোরীকে ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক দিন ধর্ষন করার ফলে গর্ভবতি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যপারে সোমবার কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চরভদ্রাসন থানার ওসি (তদন্ত) আঃ গাফ্ফার জানান, “ উক্ত কিশোরী পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে আগে আসে নাই। সোমবার অভিযোগ দায়ের করার পর থানায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদ্বয় পলাতক থাকলেও তাদের গ্রেফতারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হবে”।
সোমবার মামলার বাদী কিশোরীর পিতা জানায়, কিশোরীর পিতা একজন রিক্সাচালক। জীবিকার প্রয়োজনে তাকে প্রায় সময় দুর দুরান্তে ছুটতে হয়। তার বাড়ীর পাশে মেইন সড়ক ঘেষে চায়ের দোকানদার সুলতান ফকির। সুলতান ফকিরের স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চাকুরী করার ফলে প্রায় সময় সে নির্জন বাড়ীতে একাই বসবাস করত। প্রায় ৫ মাস আগে প্রতিবেশী কিশোরী মাঝে মধ্যে কেনা কাটার জন্য চায়ের দোকানে আসত। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা কিশোরীকে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে উক্ত চা ব্যবসায়ী কাছে টানতে শুরু করে। ইতিমধ্যে আরেক প্রতিবেশী চাঁনমিয়া মন্ডল চা দোকানদারের সাথে আতাত করে অত্যন্ত কৌশলে কিশোরীকে নির্জন বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষন করে। এরপর ব্লাক মেইল করে কিশোরীকে কয়েক দফায় ধর্ষন করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
মামলার বাদী আরও জানান, গত এক মাস আগে কিশোরীর শারীরীক পরিবর্তন ও অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা গর্ভবতি বলে প্রত্যয়ন দেন। এ ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে এলাকার মাতুব্বররা আপোষ মিমাংষার অজুহাত দিয়ে রিক্সাচালক পিতাকে আইনের আশ্রয় নিতে কালক্ষেপন ঘটিয়েছে বলে সে জানায়। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে ধর্ষক চা ব্যবসায়ীর বসতবাড়ী তালাবদ্ধ ও আরেক ধর্ষক এলাকা ছাড়া রয়েছে বলে জানা যায়।