ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভুবেনশ্বর শাখা নদের খাল খননের ফলে ক্ষতিপূরন দাবী করেছেন কৃষকরা। রোববার দুপুর ১ টায় উপজেলার টিলারচর গ্রামে উক্ত নদী পারে ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক কৃষক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে দাবী দাওয়া তুলে ধরেন। এ মানববন্ধন কর্মসূচীর সভাপতিত্ব করেন চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান। মানববন্ধনে কৃষকদের পক্ষ থেকে দাবী দাওয়া তুলে ধরেন ইউপি সদস্য ঝর্ণা খাতুন, মুন্নাফ মোল্যা, লিটন মোল্যা ও জালাল ফকির প্রমূখ।
বক্তারা জানান, উপজেলা সদর ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে ভুবেনশ্বর শাখা নদীটি প্রবাহিত। দীর্ঘকাল ধরে খননের অভাবে নদীটির নাব্যতা হারিয়ে শুকিয়ে গেছে। তাই পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীন ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যায়ে উক্ত নদীর মাঝ অংশে ৫০ ফুট প্রস্থ্যতা করে ৭ কি.মি. খাল খনন করে চলেছে ফরিদপুর পাউবো। কিন্ত খননকৃত খালের অংশ সহ পার এলাকার ফসলী জমি কৃষকদের রেকর্ডীয় ও দলিলি সম্পত্তি। এছাড়া খাল খননের ফলে উত্তোলিত মাটির ডিভি পার এলাকায় ফেলে রাখার ফলে আবাদে অযোগ্য হয়ে পড়ছে ফসলী মাঠ। তাই শত বছরের দখলীয় আবাদী জমি হারিয়ে মানববন্ধন করে ক্ষতিপূরনের দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা।
রোববার এ ব্যপারে ফরিদপুর পাউবো’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, “ খাল খনন প্রকল্পে কৃষকদের ক্ষতিপূরন দেওয়ার সরকারিভাবে কোনো বিধান আছে কি-না, তা আমার জানা নাই, বেশীরভাগ জমির মালিকরা সিকস্তি জমির দখলদার। কিছু রেকর্ডীয় সম্পত্তির মালিকানা থাকলেও এলাকার বৃহৎ স্বার্থে তাদের ত্যাগ স্বিকার করা উচিত”। আর মানববন্ধন কর্মসূচীর সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান জানান, “ উক্ত নদীর মধ্যে বিস্তৃর্ণ ফসলী মাঠের ৯০ শতভাগ জমি মালিক এসএ রেকর্ডীয় স্বতেৎ মালিকানাধীন। তাই শত বছরের দখলীয় সম্পত্তির মধ্যে দিয়ে খাল খনন করলে ক্ষতিপূরন চাওয়া কৃষকের ন্যায্য দাবী”।