ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পদ্মা নদীর গোপালপুর ট্রলার ঘাটে শনিবার শাহ লাল ফকির বাড়ীর বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও মেলা উপলক্ষ্যে যাত্রীদের উপচে পড়া ভীর লেগে আছে। বছর ঘুরে শনিবার ফিরে এসেছে মাঘী পূর্ণীমা। উপজেলা পদ্মা নদীর অপর পারে দোহার উপজেলার নুরুল্লাপুর গ্রামে বাবার দরবারের মাঘী পূর্ণীমা রাতে বাৎসরিক ধামাইল উপলক্ষ্যে হন্য হয়ে ছুটে চলেছেন আশেকানরা। বৃহত্তর ফরিদপুরের সমস্ত আশকানদের পীরের দরবারে যাতায়াতের সহজ নৌরুট হচ্ছে উপজেলার গোপালপুর পদ্মা নদীর ঘাট দিয়ে ট্রলার ও ষ্পীডবোটে পারাপার। তাই উক্ত ঘাট সংলগ্ন রাস্তাগুলোও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শনিবার উক্ত ঘাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ট্রলারে উপরে ছইয়্যা পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ করে শাহলাল ফকির বাড়ীর উদেশ্যে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ভক্ত ও আশেকানরা প্রচন্ড শীত সহ যাতায়াত দুর্ভোগ উপেক্ষা করে ছুটে চলেছেন দয়াল বাড়ীতে। নারী পুরুষ শিশু ও বৃদ্ধ সহ সব শ্রেনীর ভক্তরা ভীর জমাচ্ছেন উক্ত পদ্মার ঘাটে। উক্ত ঘাটে যাত্রী বোঝাই হওয়া মাত্র দফায় দফায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ট্রলার ও ষ্পীডবোট। নৌযানগুলো বিরামহীনভাবে ছুটে চলেছে পদ্মার অপর পারের দোহার উপজেলার কুসুম হাটি ইউনিয়নের নূরুল্লাহপুর গ্রামের শাহ লাল ফকির বাড়ী।
উক্ত দরবারের আশেকান ইরফান সেক (৪০) বলেন, “ টাকা যতই খরচ হউক আর দুর্ভোগ যতই হউক ওরশে বাবার বাড়ীর মাটি দর্শন করতে পারলে তাপিত প্রাণ শীতল অইবো”। শনিবার বিকেলে আরেক ভক্ত ইছরূন (৫৫) জানায়, “ বসতবাড়ী নগরকান্দা উপজেলায়। সকালে বাড়ী থেকে রওয়ানা অইছি। পদ্মা নদীর ঘাটে আইস্যা ভীরের মধ্যে পড়ছি। ট্রলারে উঠার জন্য দুই ঘন্টা ধইর্যা লাইনে দাড়াইয়্যা আছি। সে আরও জানায়, সংসারে চরম নিদানে আছান পাইছি বইল্যাই নিজের মাইয়্যা, পুলাপান ও মানতির মোরগ লইয়্যা তিন দিনের লাইগ্যা বাবার দরবারে যাইতাছি”।