গম ও ভুট্টার উন্নততর বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর অর্থায়নে উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), গাজীপুর এবং সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, ফরিদপুর এর যৌথ উদ্যোগে ফরিদপুরের সদর উপজেলার শোলাকুন্ডু গ্রামে ‘‘হাইব্রিড ভুট্টা উৎপাদন কলাকৌশল” শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারি, ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু নঈম মুহাম্মদ সাজেদুল করিম, সগবি, ফরিদপু্্ররে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ.এফ.এম. রুহুল কুদ্দুস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, ভুট্টা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দানা ফসল যা বিশ্বব্যাপী মানুষ ও প্রাণিস¤পদের পুষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ধান ও গমের তুলনায় ভুট্টার পুষ্টিমান বেশি বাংলাদেশে ভুট্টার আবাদি এলাকা প্রায় ৪.৫ লক্ষ হেক্টর ও উৎপাদন প্রায় ৩৫ লাখ মেট্রিক টন যা প্রধানত পোল্ট্রি ফিড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। হাইব্রিড ভুট্টার বীজ এর জন্য আমদানীকৃত বীজই ভরসা যার দাম প্রতি কেজি প্রায় ৪০০ টাকা। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চফলনশীল, লবণাক্তসহনশীল, খরাসহিষ্ণু এবং কম সেচে উৎপাদনক্ষম বিভিন্ন হাইব্রিড ভুট্টার জাত উদ্ভাবন করেছে যার বীজ মূল্য কেজি প্রতি মাত্র ১০০ টাকা এবং আমদানিকৃত বীজ এর চেয়ে ফলন বেশী। এছাড়াও ভুট্টা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি রয়েছে যেমন সেচ, পোকা দমন ইত্যাদি। তাই, বারি উদ্ভাবিত নতুন হাইব্রিড জাত আবাদে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয়। কৃষকদের নতুন জাত ও প্রযুক্তি দ্বারা ভুট্টা আবাদের জন্য প্রধান অতিথি অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানটিকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক সহকারী ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মী। অনুষ্ঠানে মোট ৩০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কারিগরি পর্বে পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে তাত্ত্বিক উপস্থাপনা দেখানো হয়। ভুট্টা নতুন উদ্ভাবিত জাত পরিচিতি, কৃষিতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা যেমন সার, সেচ ও পোকা দমন এবং ফসল সংগ্রহ প্রযুক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তা আলোচনা করেন। বক্তব্য প্রদান শেষে প্রশ্ন উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।